ভাসানচরে যেতে পেরে খুশি রোহিঙ্গারা

ভাসানচরে যেতে পেরে খুশি রোহিঙ্গারা
ভাসানচরে যেতে পেরে খুশি রোহিঙ্গারা
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক

ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থায় খুশি কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে আসা এক হাজার ৬শ ৪২ রোহিঙ্গা। ভাসানচর নিয়ে কক্সবাজারে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্ত মূলক গুজব সত্য নয় বলেও জানিয়েছেন তারা।

রোহিঙ্গারা জানান, কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরের চেয়ে অনেক ভালো ভাসানচরের আবাসন ব্যবস্থা। এককক্ষে থাকতে পারছেন চার জন করে। ভাসানচরে প্রথম এক সপ্তাহ রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। এরপর শুরু হবে রেশন দেয়া। রোহিঙ্গাদের এই একাংশের এক বছরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশীয় ২৩ এনজিও।

ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য রয়েছে ১২০টি গুচ্ছ গ্রাম। এখন পর্যায়ক্রমে স্বেচ্ছায় আসতে চাওয়া তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়া থেকে বাসে করে এক হাজার ৬শ ৪২ রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজারে। পরদিন শুক্রবার জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ভাসানচরে। প্রায় ৪ ঘণ্টা যাত্রা শেষে গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে পৌঁছায় সেখানে। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে জাহাজগুলো রওনা দেয়।

ভোরে বাসে করে নৌবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের পতেঙ্গার বার্ড, আরআরবি ও বোট ক্লাব জেটিতে নিয়ে যান। পরে সেখানে থাকা জাহাজে ওঠানো হয় তাদের। যাত্রার আগে বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই নিজেদের ইচ্ছাতেই কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে যাওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি ভাসানচরে নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকারও আশা প্রকাশ করেন। যাত্রাপথে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দেয় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন।

তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করে, ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে এমন অন্তত ১২টি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন তারা। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তারা স্বেচ্ছায় স্থানান্তর হতে চান না বলে মানবাধিকার সংস্থাটিকে জানিয়েছেন।

এই তালিকায় থাকা কিছু শরণার্থী জোর করে স্থানান্তরিত হওয়ার ভয়ে পালিয়েছেন বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

সর্বশেষ আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৮
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও