জুমাতুল বিদা’র মর্যাদা

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মুক্তিবাণী ইসলামিক ডেক্সঃ

রমজান মাসের শেষ জুমার বিশেষ ফজিলত (মর্যাদা) ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো কুরআনিক আয়াত বা সহীহ হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ নেই, তবুও কিছু হাদীসের ইঙ্গিত ও আলেমদের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে এই দিনের কিছু ফজিলত বর্ণনা করা হয়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো:

ছবি মুক্তিবাণীছবি মুক্তিবাণী

১. গুনাহ মাফের সুযোগ

রমজান মাসই হলো মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাতের মাস। শেষ জুমা এই মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, তাই এ দিনে তাওবা, ইস্তিগফার ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ সুযোগ রয়েছে।

 ২.জুমাতুল বিদা’র মর্যাদা

কিছু হাদীস ও ইসলামী বিদ্বানদের মতে, রমজানের শেষ জুমাকে **”জুমাতুল বিদা”** বলা হয়। এই দিনে বিশেষ ইবাদত করলে সওয়াব বৃদ্ধি পায়। যেমন:

• সদকা: শেষ জুমায় দান-খয়রাত করলে রমজানের পুরো মাসের সওয়াব লাভের আশা করা যায়।

• দোয়া কবুলের সময়: জুমার দিনে বিশেষ করে আসরের পরের সময়টিকে দোয়া কবুলের মুহূর্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।

৩. লাইলাতুল কদরের প্রস্তুতি

রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর (মর্যাদার রাত) অনুসন্ধানের প্রস্তুতি হিসেবে শেষ জুমার দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত ও কুরআন তিলাওয়াত করলে লাইলাতুল কদর পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন হতে পারে।

৪. সম্প্রীতির দিন

রমজানের শেষ জুমায় মুসলিম উম্মাহ একত্র হয়ে নামাজ আদায় করে, যা ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যকে শক্তিশালী করে। এই দিনে গীবত, ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলা এবং সদাচরণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সতর্কতা: এমন কিছু দলিল বা আমল রয়েছে, যেগুলো রমজানের শেষ জুমার বিশেষ ফজিলত হিসেবে প্রচলিত হলেও সেগুলো দুর্বল বা বানোয়াদ হাদীসের উপর ভিত্তি করে। তাই অতিরঞ্জিত বিশ্বাস বা নতুন আমল তৈরি করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

রমজানের শেষ জুমা হলো ইবাদত, তাওবা ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই দিনের ফজিলত লাভ করতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা উচিত।

আল্লাহ আমাদের সকলকে রমজানের শেষ জুমার ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমীন!

সর্বশেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১৫
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও