মাহে রমজানের ১২তম তারাবির সালাতে তেলাওয়াতের বাংলা সারসংক্ষেপ

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মুক্তিবাণী ইসলামিক ডেক্সঃ

মাহে রমজানের ১২তম তারাবির সালাতে তেলাওয়াতের ১২তম পারার বাংলা সারসংক্ষেপ:

১২তম পারা সূরা হুদের ৬ষ্ঠ আয়াত থেকে শুরু হয়ে সূরা ইউসুফের ৫২তম আয়াতে শেষ হয়েছে। এই পারায় সূরা হুদ ও সূরা ইউসুফের কিছু অংশ রয়েছে। সূরা হুদে নবী হুদ (আ.)-এর কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি আদ জাতিকে সতর্ক করেছিলেন। তারা আল্লাহর অবাধ্য ছিল এবং পরিণামে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সূরা ইউসুফে নবী ইউসুফ (আ.)-এর জীবনকাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যা ধৈর্য, বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি আস্থার এক অনন্য উদাহরণ। ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের পরীক্ষা, ভাইদের ষড়যন্ত্র, মিসরে তার উত্থান এবং শেষে ক্ষমা ও পুনর্মিলনের ঘটনা এই সূরায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।

মানবজাতির মুক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয়:

১. করণীয়:

তাওহিদের প্রতি বিশ্বাস: আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং শিরক থেকে দূরে থাকা।

নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার: সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।

ধৈর্য ও আত্মসংযম: জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পণ করা।

ক্ষমা ও সহানুভূতি: ইউসুফ (আ.)-এর মতো ক্ষমা ও উদারতার গুণ অর্জন করা

পরিবার ও সমাজের ঐক্য: পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক মজবুত করা এবং বিভেদ এড়ানো।

২ বর্জনীয়:

অহংকার ও ঈর্ষা: ইউসুফ (আ.)-এর ভাইদের মতো ঈর্ষা ও হিংসা থেকে দূরে থাকা।

অন্যায় ও জুলুম: আদ জাতির মতো অন্যায় ও জুলুমের পথ পরিহার করা।

মিথ্যা ও প্রতারণা: যেকোনো ধরনের মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকা।

আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা: আল্লাহর বিধান উপেক্ষা না করা এবং তাঁর সীমা লঙ্ঘন থেকে দূরে থাকা।

নবিদের কাহিনী থেকে প্রাপ্ত বার্তা:

১. আল্লাহর প্রতি আস্থা: নবী ইউসুফ (আ.)-এর কাহিনী থেকে আমরা শিখি যে, জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতে আল্লাহর উপর আস্থা রাখা এবং তাঁর পরিকল্পনায় বিশ্বাস করা। ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের প্রতিটি ধাপে আল্লাহর সাহায্য ও নির্দেশনা ছিল।

২. ধৈর্যের গুরুত্ব: নবিদের জীবন থেকে আমরা জানতে পারি যে, ধৈর্য ও সহনশীলতা হল ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউসুফ (আ.)-এর মতো ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ অবশ্যই উত্তম ফল দেবেন।

৩. ক্ষমার মহিমা: ইউসুফ (আ.)-এর ক্ষমা ও উদারতা আমাদের শেখায় যে, ক্ষমা হল মহানুভবতার চিহ্ন এবং এটি সমাজে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে।

৪. অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো: নবী হুদ (আ.)-এর কাহিনী থেকে আমরা শিখি যে, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সত্যের পথে অবিচল থাকা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব।

সর্বশেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:১০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও