মাহে রমাদ্বানে ১১ তম তারাবির সালাতে তেলাওয়াতের বাংলা সারসংক্ষেপ

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মুক্তিবাণী ইসলামিক ডেক্সঃ

মাহে রমজানের ১১তম তারাবিহ সালাতে তেলাওয়াতের বাংলা সারসংক্ষেপ এবং সমসাময়িক বিষয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো নিম্নরূপ:

সারসংক্ষেপ: ১১তম তারাবিহ সালাতে সাধারণত কুরআন মাজিদের ১০ম পারার শেষাংশ এবং ১১তম পারার শুরু অংশ তেলাওয়াত করা হয়। এই অংশে সূরা তাওবা, সূরা ইউনুস এবং সূরা হুদ-এর কিছু আয়াত অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই সূরাগুলোতে তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাতের বিশ্বাস, নবীদের কাহিনী, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে সূরা হুদে নবীদের ধৈর্য ও সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা মুমিনদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।

সমসাময়িক বিষয়ে করণীয়:

১.আল্লাহর আদেশ মেনে চলা: কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা এবং আল্লাহর বিধান মেনে চলা।

২. ধৈর্য ও সংযম: নবীদের মতো ধৈর্য ধারণ করা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম অবলম্বন করা।

৩. সত্যের পথে অবিচল থাকা: সমাজে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং সত্যের পথে অবিচল থাকা।

৪. সমাজের কল্যাণে কাজ করা: গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের সাহায্য করা এবং সমাজের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করা।

৫. আত্মসমালোচনা ও তাওবা: নিজের ভুলত্রুটির জন্য আত্মসমালোচনা করা এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করা।

সমসাময়িক বিষয়ে বর্জনীয়:

১. অন্যায় ও জুলুম: সমাজে অন্যায়, জুলুম ও অবিচার থেকে দূরে থাকা।

২. অহংকার ও গর্ব: অহংকার ও গর্ব পরিত্যাগ করা এবং বিনয়ী হওয়া।

৩. মিথ্যা ও প্রতারণা: মিথ্যা কথা, প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি থেকে বিরত থাকা।

৪. অশ্লীলতা ও অপচয়: অশ্লীলতা, অপচয় ও বিলাসিতা পরিহার করা।

৫. গীবত ও অপবাদ: গীবত, চোগলখোরি এবং অন্যের প্রতি অপবাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

মাহে রমজান হলো আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির মাস। এই মাসে কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী জীবন গঠন করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য।

সর্বশেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:২৩
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও