ভারত প্রতিবেশী হয়েও কথা রাখেনি। বাংলাদেশের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকলেও তারা ফেরত দেয়নি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো হাসিনাকে। উল্টো পররাষ্ট্রনীতি অমান্য করে স্বৈরাচার হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের দেশে। এতটুকুতেই ক্ষান্ত হয়নি ভারত, হাসিনার সাথে মিলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। হাসিনাকে ফেরত পাঠানো বিপরীতে হাসিনার পক্ষ নিয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায় মোদি সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের। তবে বাংলাদেশও বসে নেই, হাসিনাকে ফেরাতে দ্বারস্থ হয়েছে ইন্টারপোলের। এবার অপেক্ষার পালা ফুরালো, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের যে দাবি আম-জনতার তা অবশেষে পূর্ণতার পথে।
আগামী এক মাসের মধ্যে হাসিনার বিচার শুরু হবে, এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে লেগেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কথা অনুযায়ী এবছরের শেষ দিকে অথবা ২৬ এর শুরুতে হবে নির্বাচন। এর মধ্যেই সরকার চাইছে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার।
এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল হোসেন জানান, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। হাসিনা সরকারের সময়েই এই চুক্তি হয়। আশা করা যায় সেই চুক্তি মোতাবেকই ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু মামলার তদন্তের রিপোর্ট মার্চ মাসের মধ্যেই সামনে আসতে পারে বলে জানান এই সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্ট পেলে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দেওয়া যাবে।’ গত বছরের ৫ আগস্ট চোরের মত লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী হাসিনা। এরপর থেকে প্রায় আড়াইশোটি হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে গণহত্যাকারী হাসিনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার খবরে উচ্ছ্বসিত দেশের সাধারণ মানুষ।
সর্বশেষ আপডেট: ৩ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪৭
পাঠকের মন্তব্য