সাগর-রুনি হত্যা মামলা ১২ বছরেও রহস্য অজানা, তদন্ত প্রতিবেদন ১১৬ বার পেছালো

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা। ২০১২ সালের এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত আজও শেষ হয়নি। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বিচারপ্রার্থীরা অপেক্ষায় থাকলেও, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ রবিবার (২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও, তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। ফলে আদালত নতুন করে আগামী ১৫ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১১৬ বার পিছিয়ে গেল।

এই মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, এবং নিহত সাংবাদিক দম্পতির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ। এছাড়া তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খানও আসামি তালিকায় রয়েছেন। পলাশ ও তানভীর জামিনে থাকলেও বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছেন।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে র‍্যাব তদন্তের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু এত বছর পরেও হত্যার কারণ কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি। মামলার আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রেও পাঠানো হয়, তবে কোনো কার্যকর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংস্থাগুলো বারবার আদালতে জানিয়ে আসছে যে, রহস্য উদ্ঘাটনের কাজ চলছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

সরকার পরিবর্তনের পর তদন্তের দায়িত্ব র‍্যাব থেকে পিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার বাদীও একজন ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেন। তবে এত পরিবর্তনের পরেও তদন্ত এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

এক দশকের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বিচার না পাওয়া এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার প্রতিফলন। সাংবাদিক সমাজসহ সাধারণ মানুষ এখনও আশা করে, একদিন প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে এবং দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

সর্বশেষ আপডেট: ২ মার্চ ২০২৫, ১৪:০২
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও