ভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইন্ডিয়ান ‘র’, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ পরিচালনা করতো ইন্ডিয়ান ‘র’ দিয়ে। দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেই হাত ছিলো ভারতের পোষা বিশেষ এই বাহিনীর। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়ে যাবার পর অনেকেরই ধারণা ছিলো বাংলাদেশ ‘র’ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু ধারণাটি ভুল এবার নতুন ভাবে নতুন পরিচয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইন্ডিয়ান এই বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই ফাঁস করেছেন আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

আল-জাজিরার এই সাংবাদিক সম্প্রতি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং এর একদল কর্মকর্তা বাংলাদেশে ভিন্ন নামে ও ভিন্ন পরিচয়ে প্রবেশ করেছে। তার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁসের পরই এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বমহলে। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি তার আরও একটি ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৬ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় আসেন। এই সফরে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এবং ডিজিএফআই এর সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করা। জানা গেছে, গত বছরের ৬ নভেম্বর, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭-এ ‘র’ এর উপদেষ্টা ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা ঢাকায় আসেন। তারা দুজনই ভারতের আইপিএস কর্মকর্তা। এর আগে, আশোক কুমার সিনহা ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ও ১০ নভেম্বর দুই দফায় এক দিনের করে সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তারা ২৪ এর নভেম্বরে আবারও ঢাকায় এসেছিলেন। তবে, এবার আগের সফরগুলোর তুলনায় ভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

ভারতের বিশেষ এই বাহিনীর চক্রান্ত বোঝার বাকি নেই বাংলাদেশের। ভারতীয় ‘র’ যে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাও এখন ওপেন সিক্রেট। স্বৈরাচার হাসিনার মতো নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের ফাঁদে পা দিতে রাজি নয় কখনোই। আর তাই বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোনো বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। এমনকি, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র-এর ‘কভার’ ও ‘ডিপ কভার’ অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করার পরামর্শও দেওয়া হয় এসময়। প্রত্যাশিতভাবে সাড়া না পাওয়ায়, ‘র’ এর কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে সেসময় গুলশানের হোটেল আমারীর কর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। হতাশা নিয়েই ৮ নভেম্বর এই দুই র কর্মকর্তা ঢাকা ছাড়েন। তারা বাংলাদেশ থেকে হতাশা নিয়ে ফিরে গেলেও গোপনে ঠিকই ভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইন্ডিয়ান ‘র’। ভারতের এই বিশেষ বাহিনী থেকে সাবধান থকতে হবে অন্তবর্তী সরকারকে এমনটিই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ আপডেট: ২ মার্চ ২০২৫, ১৩:৪৮
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও