জ্ঞানমনস্ক আলোকিত সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গণগ্রন্থাগার এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ উদযাপন করা হচ্ছে। এর-ই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার এর উদ্যোগে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ এ র্যালী, বই পাঠ, আলোচনা সভা ও সেরা পাঠক সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মেইন রোড থেকে গ্রন্থাগার পর্যন্ত এক বর্ণঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালী শেষে বিভিন্ন লেখকের রচিত গ্রন্থ থেকে পাঠ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রন্থাগার পাঠক ফোরামের সভাপতি দেবাশীষ দাশ রতনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিনয় দাশ।
গ্রন্থাগারের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি বিপ্লব দাশের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদ ও মুক্তাহার গ্রামের ভাষা সৈনিক বাণীকান্ত দাশ ও প্রিয়তোষ দাশ দ্বয়ের স্মরণে ১ মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
এসম অন্যান্যদের মধ্যে গ্রন্থাগারের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ প্লাবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রতীক দাশ, গ্রন্থাগার কর্মী প্রান্ত দাশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, পাঠক ও বইয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে গ্রন্থাগারের অবদান অনস্বীকার্য। তাই গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। দিবসটি অন্যান্য জাতীয় দিবসের মতোই গুরুত্ব বহন করে। তাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা উচিত। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ আমাদের জাতীয় এই কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে এবং এখানে বসে বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা নবীগঞ্জ উপজেলার অন্য কোন গ্রামে এই সুবিধা নেই। তাই আমাদের সবার উচিত গ্রন্থাগারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সকল কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে বই পড়া ও পাঠাগার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল স্তরের মানুষকে বই পড়তে উৎসাহী করতে কাজ করা।”
উল্লেখ্য, সারা বছর পাঠকদের বই পড়ার উপর ভিত্তি করে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ থেকে সেরা পাঠক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবছরের সেরা পাঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উর্মি দাশ ও সৃষ্টি রাণী দাশ। সভা শেষে অতিথিবৃন্দ তাদের হাতে সেরা পাঠক সম্মাননা তোলে দেন।
সর্বশেষ আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:৫৩
পাঠকের মন্তব্য