শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যদি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চায় তা কোনোভাবে সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।
তিনি বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিক স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের উদ্বোধন ও বধ্যভূমির স্মৃতি ফলক উন্মোচনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ এক বিস্ময়ের নাম। এ অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আজ নতুন করে অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে নতুন করে আবার বিতর্কের সৃষ্টি করছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকার পাঠ্যক্রমে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনছে। সেইসাথে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে, শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনছে। প্রযুক্তি ব্যবহার, নারী-প্রতিবন্ধী-বান্ধব শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষায় সবার অভিগম্যতা যেন থাকে তা সরকার নিশ্চিত করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করছি যেন শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষ করে নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আমরা চাই না সনদ সর্বস্ব বেকার তৈরি করতে।
সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হক এবং ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরকারি বাঙলা কলেজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। মুজিববর্ষের প্রাক্কালে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে এ প্রজন্মের সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্যতম বধ্যভূমি সরকারি বাঙলা কলেজ প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সর্বশেষ আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৩৫
পাঠকের মন্তব্য