স্বৈরশাসক হাসিনার পতনে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র ভূমিকা অপরিসীম- আবেদ রাজাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েস লোদি

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
সালেহ আহমদ (স’লিপক):

যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি এবং লন্ডন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং পরে নিজবাড়িতে পৃথকভাবে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহাব উদ্দিন’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি ও সংবর্ধিত অতিথি যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি এবং লন্ডন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক হাজী তাজরুল ইসলাম তাজুল, লন্ডন মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি শরিফ উদ্দিন ভূইয়া বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক এম আহমদ আলী, আবেদ রাজার সফরসঙ্গী ও লন্ডন বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল হাসান কয়েস লোদি বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। স্বৈরশাসক হাসিনা যতবার যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছিল ততবারই যুক্তরাজ্য বিএনপি ও লন্ডন মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন। এতে করে বহিঃবিশ্ব স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র ফুটে উঠে। যার ফলে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সহজেই স্বৈরশাসক হাসিনা পালায়।

সংবর্ধিত অতিথি যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি এবং লন্ডন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ভাইদের নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনা যেখানে যে হোটেলেই অবস্থান করুক না কেন, সে প্রধান গেইট দিয়ে যাতায়াত করতে পারতো না। আমাদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের কারণে সে সবসময় হোটেলের ফায়ার এক্সিট গেইট ব্যবহার করতো। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে আন্দোলন করার কারণে তিনি এক যুগের চেয়েও বেশি সময় দেশে আসতে পারেননি এবং মা ও বড় ভাইয়ের শেষ বিদায় দিতে পারেননি। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বক্তব্যের শেষে সিলেট জেলা ও দক্ষিণ সুরমার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ফালাকুজ্জামান জগলু, ডা. এনামুল আহমদ, জিল্লুর রহমান শোয়েব, শাহ কামাল উদ্দিন, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, প্রচার সম্পাদক লোকমান আহমদ, মহানগর বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে আহসান রাব্বী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আছাদ উদ্দিন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মালিক মল্লিক, বিএনপি নেতা মোতাহির হোসেন জুনেদ, শাহ মোজাম্মেল আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমদ, সিলেট জেলা কৃষক দলের সদস্য নানু মিয়া, নাহিদ হোসেন, সিলাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী পাবেল আহমদ, দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল আলম বাহার, মোগলাবাজার ইউপি বিএনপির সভাপতি আফতাব উদ্দিন, জালালপুর ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন আলাই, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আজহার অনিক, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন আহমদ ফাহিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদললের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ, সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা আবু সাইদ আদনান, সানোয়ার আহমদ, মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের রাইয়ান আহমদ, দক্ষিণ সুরমা কলেজ ছাত্রদলের মামুন আহমদ, যুবদল নেতা সালা উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাদিকুর রহমান নাঈম, আরিফুল হক রনি সহ সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আবেদ রাজার মা-বাবা ও বড় ভাই এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাড়িতে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৪
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও