মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন- সামনে কঠিন সময় আসছে। তা অতিক্রম করতে হলে ঐক্যের প্রয়োজন। অনেকে মনে করছেন বিএনপি ক্ষমতায় চলে গেছে কিংবা যাবে। এটা মনে করার কোনো কারণ নাই। এখানে কোনো গ্রুপ নেই। একটাই গ্রুপ, সেটা হচ্ছে তারেক গ্রুপ।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার টি.এন খানম সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এসব কথা বলেন।
তিনি জুড়ী উপজেলার সকল ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বলেন- জুড়ী উপজেলায় একটি আহবায়ক কমিটি করা হবে। উক্ত কমিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করবে। পরে উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সেলিম মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন মিঠু, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাছুম রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আছকর, বিএনপি নেতা মতিউর রহমান চুনু।
শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ছাত্রদল নেতা আমির হোসেন, গীতা পাঠ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দিবাকর দাস।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, মোশাররফ হোসেন বাদশা, আবুল কালাম হেলাল, স্বাগত কিশোর দাস, গাজী মারুফ, আব্দুল হক, মনোয়ার হোসেন, আনিছুজ্জামান বায়েছ, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ড. মুদাব্বির হোসেন, জেলা যুবদল নেতা এম এ মুহিত।
স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা জানান, কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথি কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ও বিশেষ অতিথি কেন্দ্রিয় বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমান জুড়ীতে আসলেও সভায় না গিয়ে জুড়ী শহর থেকে ফিরে যান। সভা মঞ্চের ব্যানারে নাম ও ছবি নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ব্যানার পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। দুপুর একটায় সভা শুরুর কথা থাকলেও বিকাল ৪টার পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছাড়াই মুল সভা শুরু হয়।
সর্বশেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩২
পাঠকের মন্তব্য