বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

গত ১০ নভেম্বর তিন জন উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের শপথবাক্য পাঠের সময় বঙ্গভবনের দরবার হলে পেছনের দেয়ালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো দেখা যায়। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায়র সৃষ্টি হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি এখনো কেন রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হাজার হাজার নেটিজেন শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমের আইকন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি কেন বঙ্গভবনসহ সরকারি অফিসে এখনো শোভা পাচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক তোলেন। তারা প্রায় সবাই শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলার দাবি জানান। একজন সমম্বয়ক বলেন, মুজিবের ছবি সরানো না হলে গণভবনের পরিণতি ভোগ করতে হবে বঙ্গভবনকে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে একটি ছবি যুক্ত করেন। ছবিটি আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তুলেছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়। ছবিতে দেখা যায় বঙ্গভবনের দেয়ালে আগে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল, এখন সেটি নেই। অর্থাৎ বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। কিন্তু নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন সচিবালয়ে বৈঠক করছেন, পেছনের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।

অনুসন্ধান করে দেখা যায়, সচিবালয়ে আরো কয়েকজন উপদেষ্টার অফিস ও হলরুমে এবং সচিব থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের অফিসের দেয়ালে মাথার উপর শেখ মুজিবের ছবি লাগানো রয়েছে।

সরকারি অফিস-আদালত থেকে মুজিবের ছবি এখনো না সরানোর প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনার যে সব দালাল এখনো প্রশাসনের বড় বড় পদে রয়েছেন তারাই মূলত সুকৌশলে মুজিবের ছবি দেয়ালে রেখেছেন। কারণ শেখ মুজিবের ওই ছবি শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখবে। মুজিবের ছবি দেখে শেখ হাসিনাকে স্মরণ করবে। বিদেশিরা যখন সচিবালয়ে আসবেন উপদেষ্টাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বা কোনো বৈঠকে তখন মুজিরেব ছবি দেখে তাদের শেখ হাসিনার কথা মনে পড়বে। সে জন্য কেরামতি করে হাসিনার অনুগত আমলারা শেখ মুজিবের ছবি সচিবালয়ের দেয়ালে টানিয়ে রাখছেন। একজন লিখেছেন, প্রধান উপদেষ্টা তার অফিস থেকে শেখ মুজিবের ছবি তুলে ফেলে সেখানে কলেমা তৈয়বা লিখেছেন। আর এনজিও মার্কা ও তাবেদার কয়েকজন উপদেষ্টারা নিজেদের অফিসে শেখ মুজিবের ছবি রেখেছেন সংবিধান ও আইনের দোহাই দিয়ে। তবে বেশির ভাগ উপদেষ্টা লিখেছেন সচিবালয়ে মুজিবের ছবি রাখা আমলাদের কেরামতি ছাড়া কিছুই নয়। শেখ হাসিনা তার সর্বশেষ ভাইরাল হওয়া টেলিফোন অডিওতে যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে সিভিল প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবিসহ সব সেক্টরে তার অনুগত লোকজন এখনো রয়ে গেছেন। তা না হলে হাসিনা এভাবে হুমকি দেয় কিভাবে?

সর্বশেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও