মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা। অভিনন্দন বার্তায় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাগোগ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভারতের যে সব সাংবাদিক হাসিনার অনুগত এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিত্য লেখালেখি করছেন; তাদের একজন এ নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনা এখনো নিজেদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও ভারত সেটা মনে করছে না। গতকাল দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এটা স্পষ্ট করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি নির্বাসনে থাকা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করছে ভারত। এর জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বার বার আমরা বলেছি তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই অবস্থানে আছি।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ এক বিবৃতিতে বলেছে, হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্ণনা করেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ না করলেও ভারতের একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দিল্লির অবস্থান জানতে চান।
৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় প্রথমে দাবি করেন তার মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। অতপর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার বার্তা দেন। কয়েকদিন পর সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন তার মা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এই বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশের একজন সিনিয়র সাংবাদিককের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, তার কাছে হাসিনার পদত্যাগ পত্র নেই। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি এ বিতর্ক প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন তীব্র পর্যায়ে রুপ নেয়। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট সাহাবুুদ্দিন বলেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করে চলে গেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্যের পর ভারত শেখ হাসিনার অবস্থান পরিস্কার করলো। ভারতের এই অবস্থান শেখ হাসিনার জন্য চপেটাঘাত বটে। কারণ শেখ হাসিনা দিল্লিতে থেকে তিন বার টেলিফোনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে যে বক্তব্য দেন তা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, কাছেই রয়েছি টচ করে দেশে ঢুকবো, ড. ইউনূসের সরকার একমাসও টিকতে পারবে না।
সর্বশেষ আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২
পাঠকের মন্তব্য