মহামান্য প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিন এখনো ‘টপ অব দ্য কান্ট্রি’

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

মহামান্য প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিন এখনো ‘টপ অব দ্য কান্ট্রি’। তার একটি বক্তব্য থেকে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সূত্রপাত। অবশ্য বঙ্গভবন থেকে প্রেসনোট দিয়ে বিষয়টিকে স্পষ্ট করা হয়েছে। এখানেই ইস্যুটির ইতি ঘটা সমীচীন ছিল। কিন্তু না। পত্র-পল্লবে প্রস্ফুটিত হয়ে ইস্যুটিকে ‘তাজা’ রাখার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। গত ২১ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল হয়। এছাড়া প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ উল্লেখ করে পদত্যাগ দাবি করা হয় তারও। ওই গণজমায়েত থেকে ২২ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি ডাক দেয়া হয়।

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বঙ্গভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান। যদিও বাস্তবে তেমন কোনো গণজমায়েত চোখে পড়েনি। বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় কিছু মানুষ ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। কিছু মানুষকে জড়ো হতে দেখা যায় ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এই ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে বঙ্গভবনের দিকে আসেন তারা। বঙ্গভবন সংলগ্ন খালি জায়গায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন।

ক্ষোভ-বিক্ষোভ এবং বাকস্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার এই অধিকার দীর্ঘদিন রুদ্ধ করে রেখেছিল বলেই জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সৃষ্টি। অধিকার হরণের চূড়ান্ত পরিণতিতে হাসিনাকে অপমানজনক কায়দায় পালাতে হয়েছে। কিন্তু একজন ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের পালিয়ে যাওয়াই শেষ কথা নয়। হাসিনা ফ্যাসিবাদের যে শেকড় বাংলাদেশের নরম ভূমির গভীরে রেখে গেছেন, সেটির প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। এটি তার হঠাৎ ভারত পালিয়ে যাওয়া আবার ‘চট করে’ বাংলাদেশে ঢুকে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। তিনি রেখে গেছেন ফ্যাসিবাদের ছানাপোনা। তারা হাউকাউ বাঁধাতে চাইছে। যে কোনো ফরমেটে, যে কোনো ছুতোয় সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় মরিয়া তারা। এরই মধ্যে বেশ কিছু তৎপরতার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নস্যাৎ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারকে ব্যর্থ, অস্থিতিশীল ও অকার্যকর প্রমাণে ফ্যাসিবাদের দোসররা চান্স পেলেই মাথা বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আজগুবি সব বিষয়াদি মাঠে ছাড়ছে। চাঞ্চল্যকর ও চিত্তাকর্ষক হেডলাইন করে মানুষের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা চলছে। বিভ্রান্ত করছে। নানা ধরনের ফাঁদ পাতছে। আগস্ট বিপ্লবের নায়কদের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও যে এ ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে না-তাও নয়। তবে মেধাবী, দূরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্ব সেই ফাঁদে পা দেয়া থেকে সংগঠনটিকে এখন অবধি রক্ষা করে চলেছে।

এখন ইনফরমেশন টেকনোলজির যুগ। সেকেন্ডে পৃথিবীর সব প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে তথ্য এবং অপতথ্য। হালের অত্যন্ত শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তাই দ্রুতই ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে গুজব-গুঞ্জন। ক্ষণজন্মা বাংলাদেশি বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিষয়ে অপপ্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। তাদের আশঙ্কা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ধারাবাহিক সাফল্যকে ম্লান করে দিতে একের পর এক কু-তর্ক সৃষ্টি করা হবে। হয়েছেও তাই। গত সোমবার ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যু’ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক উপদেষ্টার বলিষ্ঠ অবস্থান এবং এ প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের কয়েক লাইনের ব্যাখ্যায় ইতি ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবারও নেট দুনিয়ায় চালাচালি হতে দেখা গেছে আগের দিনের কচলানো ইস্যু। একটি হচ্ছেÑ মিথ্যাচারিতার দায়ে প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছেÑ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রেসিডেন্ট পদে বসাতে হবে। এ ছাড়া ‘বিপ্লবী সরকার’ বলে একটি টার্ম নিয়েও আলোচনা করছেন এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী। এ সবগুলোকেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়ার ‘ফাঁদ’ বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। তারা মনে করছেন, একটি কঠিন সময়ে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব পান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব গ্রহণের পরপর গত আড়াই মাসে নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাকে। এর মধ্য দিয়েই নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে এক এক আসতে শুরু করেছে নানা সাফল্যের বারতা। দুর্যোগের ঘনঘটা ক্রমেই দূরীভূত হতে শুরু করেছে। উঁকি দিচ্ছে নতুন সূর্য। মানুষের আস্থা বাড়ছে সরকারের ওপর। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন দাতাদেশ ও সংস্থা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামের ওপর আস্থা রেখে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশ্বরাজনীতি থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন শেখ হাসিনার দুর্নীতির কারণে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তারা ফের মুখ তুলে তাকাতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জং ধরা সম্পর্ক ঝালাই করছেন ইউনূস। ভারত নির্ভরতা কমাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আঞ্চলিক জোট ‘সার্ক’কে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সব ক্ষেত্রে, সর্বব্যাপী যখন গতির সঞ্চার হচ্ছেÑ তখনই একটি মহল মোঃ সাহাবুদ্দিনকে হটিয়ে সেই চেয়ারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বসিয়ে দিচ্ছেন!

প্রেসিডেন্টের কর্ম-চৌহদ্দি সম্পর্কে যাদের সম্যক ধারণা আছে তারা বোঝেন, অনুসৃত সংবিধানে একজন প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার কতটুকু। ব্যক্তি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে হয়তো যেনতেন প্রকারে ‘প্রেসিডেন্ট’-এর দায়িত্ব থেকে নামিয়ে দেয়াই যায়। কি প্রক্রিয়ায় নামিয়ে দেয়া যায় সেই পথ হয়তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতলে নিতেও পারে। কিন্তু তার স্থলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কতটা জুতসই? দেশ পুনর্গঠন প্রশ্নে সেটি কতটা যথার্থ? কতটা দূরদর্শিতা রয়েছেÑ সেটি কি কেউ তলিয়ে দেখেছেন? চিন্তাশীল নেটিজেনরা তো বলছেন, মূল ষড়যন্ত্রটি এখানেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অকার্যকর করে রাখতে হবে। শ্বেতশুভ্র বঙ্গভবনের অলঙ্কারিক পদে তাকে বসিয়ে দিতে পারলেই চুকে যাবে ল্যাঠা! যে স্বপ্ন, আকাক্সক্ষা আর চেতনা নিয়ে রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল সেটি ব্যর্থ করে দিতে এমনটিই যথেষ্ট। কারণ অনুসৃত সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের তেমন কোনো কাজ নেই। আ.লীগ সরকারের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ অনেকটা রসিকতার ছলে বলেছিলেন একটি সত্য কথা। তা হচ্ছেÑ মাজার জিয়ারত, মরহুমদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা ছাড়া প্রেসিডেন্টের তেমন কোনো কাজ নেই। বাস্তবে সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে ‘রাষ্ট্রপতি’র কর্মপরিধি উল্লেখ রয়েছে। সে অনুযায়ী, তিনি ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকার ভেঙে দিতে পারেন। যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। সংবিধানের ওপর ভেটো প্রয়োগও করতে পারেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই তার এ ক্ষমতা সরকারের গণতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল।

কিন্তু জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীরা নিশ্চয়ই এসব কাজের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পছন্দ করেননি; বরং বিশ্বব্যাপী তার সম্মান, পরিচিতি, সম্পর্ক এবং প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিস্টমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবেনÑ এটি ছিল মূল বিবেচ্য। আর এ কাজে তাকে ছুটে বেড়াতে হবে বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দীর্ঘসময় ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করে প্রান্তিক মানুষের হৃদয় জয় করে নেয়া এই মানুষটি জানেন মানুষের সঙ্কট কোথায়। তিনি ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী গড়ার স্লোগান ফেরি করছেন বিশ্বের দরবারে। শূন্য কার্বণ নির্গমন, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব। দেশের সব অংশীজনের মধ্যে সমতা আনয়ন ও সব মানুষের ক্ষমতায়নে তার এ ‘থিওরি’ অনেক পশ্চিমা দেশ গ্রহণ করেছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে? এ বিষয়টিই অনুধাবন থেকে দূরে সরিয়ে রাখাই ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ।

নেটিজেনরা তাই মনে করছেন, একটি মহল প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসাতে উঠেপড়ে লেখেছেন। যা ষড়যন্ত্রমূলক এবং একটি ফাঁদ। এ ষড়যন্ত্র সফল হলে ড. ইউনূস সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে। ফসল উঠবে পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের গোলায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তাকে প্রধান উপদেষ্টার পদে বহাল রেখে দেশকে অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন অসংখ্য সচেতন দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা।

মাহবুব করিম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেনÑ একটি মহল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসাতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের অদূরদর্শী এই পদক্ষেপে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাফল্যের ধারাবাহিকতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এর সুবিধাভোগী হবে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা।

তুহিন সরকার লিখেছেনÑ ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে প্রেসিডেন্ট বানানোর ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। আমি মনে করি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দিলে দেশ আরো পিছিয়ে যাবে। তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা থেকে দেশ যে উপকৃত হচ্ছিল তা ব্যাহত হবে। তাই আমরা সচেতন নাগরিক চাই তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদেই বহাল থাকুন।

ড. ইউনূস সরকারের সাফল্যে তুলে ধরে সুরেন্দ্র কুমার লিখেছেনÑ রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ খরচ না করেই দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সাথে আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি সব দেনা (আদানি, সুদ, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) শোধ করে অর্থনীতি পজিটিভ ধারায় ফিরবে। আওয়ামী দালাল আর লুটেরাদের কথায় না নেচে ধৈর্য ধরি, দেশ গড়ায় যার যার জায়গা থেকে পজিটিভ কন্ট্রিবিউশন অব্যাহত রাখি।

মাসুদ আহ্বান জানিয়ে লিখেছেনÑ আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই জন্য যে, আজকে যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা সবাই ব্যর্থ। আমাদের পেছনে আওয়ামী ইবলিশ লেগেই আছে। সবাইকে বলতে চাই তারা যেন ফ্যাসিবাদী দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে আশিক চৌধুরী লিখেছেন, চেষ্টা করলে অবশ্যই সম্ভব ইনশাআল্লাহ, যেমন আফগানিস্তান চেষ্টা করছে। আর আমরা এক দল চেষ্টা করছে আরেক দল তাদের টেনে নামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এরকম করলে দেশের উন্নতি কেউ করতে পারবে না। যতক্ষণ না দেশের সব মানুষ প্রকৃত উন্নয়ন চাইবে, আইনের শাসন চাইবে, যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করতে চাইবে।

প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দুই মাসে তুলনামূলক সাফল্য এসেছে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। ব্যাংকিং খাতে নানা উদ্যোগে গ্রাহকদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সেই সঙ্গে কূটনৈতিক নানা তৎপরতা বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক স্বপ্ন দেখাচ্ছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের।

সর্বশেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪২
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও