চলতি মাসের প্রথম আট দিনে ৭৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ৪৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ অক্টোবরের এই কয়েকদিনে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে প্রায় ৩৪ কোটি ডলার বা ৭৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ শতাংশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে বুধবার প্রায় ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এক মাস আগে যা ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমিছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশের বেশি। কমার ধারায় রয়েছে আমদানি। ফলে আগের দেনা পরিশোধের চাপ থাকলেও বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আকুর দেনা শোধের পর গত মাসের প্রথম সপ্তাহে কমে ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক কোনো বছর রেমিট্যান্সে এত প্রবৃদ্ধি হয়নি। সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ১০৭ কোটি ডলার বা ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। প্রথম তিন মাসে এসেছে ৬৫৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসে ৪৯০ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে ডলার বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ডলারের দর ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
গত মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) জুলাই-আগস্টের দায় বাবদ ১৩৭ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর পর ৯ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এর পর বেড়ে এ পর্যায়ে উঠেছে। আকুর দায় শোধের আগে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল। বিক্রির ফলে তা কমে যায়।
ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে আর কোনো ডলার বিক্রি হচ্ছে না। অবশ্য কোনো বিদেশি পরিশোধ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বাজার থেকে ডলারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত রিজার্ভ ধরে রাখতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২০
পাঠকের মন্তব্য