সংস্কার উদ্যোগের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা তথা ‘বাংলাদেশ ২.০’ বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে এই প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে ক্রিস্টালিনা জর্জিভাকে জানান।
জর্জিভা বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন দেশ। এটা বাংলাদেশ ২.০’। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় সংস্কার কমিশনের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমনে উদ্যোগসহ নানান ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। ঐকমত্যে পৌঁছানো ও ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আইএমএফ কর্মকর্তা ড. ইউনূসকে আশ্বস্ত করে বলেন, আইএমএফ দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেবে। সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে ঢাকায় আছে। তারা অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
আইএমএফ বোর্ড আগামী মাসে প্রতিনিধি দলের ফলাফল পর্যালোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে নতুন ঋণ কর্মসূচি বা গত বছর চালু হওয়া বর্তমান সহায়তা কর্মসূচি বাড়াতে পারে। বৈঠকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকারের দ্রুত উদ্যোগের ওপর জোর দেন এবং ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে আইএমএফ’র সহায়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
সর্বশেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১১
পাঠকের মন্তব্য