নির্বাচনের আগাম বার্তা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

এক যুগ ধরে নির্বাসনে নির্বাচন। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকারের কপাট বন্ধ। সেই বন্ধ কপাট খুলে দেয়ার বার্তা এসেছে। নির্বাচন কমিশন সংস্কারে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই সংস্কার কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি সংস্কারে প্রস্তাবনা দেবে, অতঃপর নতুন কমিশন গঠনের পরপরই ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আগামী নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, আগামী ১৮ মাসের (দেড় বছর) মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেয়া হবে। গত সোমবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনের প্রতি সেনাবাহিনীর পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি তার (ড. ইউনূস) পাশে থাকবো। তাতে যা হবার তাই হোক। এ জন্য তার পাশে থাকব যেন তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।’ এর আগে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশন সংস্কারের লক্ষ্যে ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠন করেন। তারও আগে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘দেশে কখন নির্বাচন হবে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে এ দায়িত্ব পালন করব। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী এ লক্ষ্যে (সংস্কার ও নির্বাচনী পরিবেশ) কাজ করে যাচ্ছে। কখন নির্বাচন হবে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে, আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।’

৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যস্ত সময় পার করছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারে হাত দিয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার আনতে সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন সংস্কারে ৬টি সংস্কার কমিশনের সদস্যদের নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনসহ অন্য কমিশনগুলো পহেলা অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশন সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে নতুন করে সিইসিসহ কমিশনার নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন কমিশন স্বল্প সময়ের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন। গতকালও রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সব দিক নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব এবং তার ভিত্তিতে সুপারিশ প্রণয়ন করব। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের নয়। ৯০ দিন আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধানের ‘দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হবে’ বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কাজের সময় দীর্ঘায়িত হবে। তবে কতদিন সময় লাগবে তা বলা দুস্কর। সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই এটা নির্ধারিত হবে।’

জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করেছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। এ সময় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ‘দেড় বছর মধ্যে নির্বাচন’ বার্তা আন্তর্জাতিক মহল ও বাংলাদেশের জন্য খুবই তৎপর্যপূর্ণ। অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। হিন্দুত্ববাদী ভারতের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সংলাপ না হলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। নোবেল বিজয়ী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হওয়ায় সবার চেয়ে তার দিকে নজর থাকবে বেশি। তাই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে সকলেই চাইবেন ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলতে। সবাই বুঝতে চাইবেন বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ড. ইউনূস কী করবেন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল হাসিনা রেজিম। ২০১৪ সালের প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে গভীর রাতের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের ডামি প্রার্থীর নির্বাচনে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। স্থানীয় নির্বাচনগুলোও পাতানো হওয়ায় জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। বর্তমানে যাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৫ বছর তারা একবারও ভোট দিতে পারেননি। হাসিনা রেজিমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করায় বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নাম গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় নেই। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিবছর গণতন্ত্র সম্মেলন করলেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিশ্বের ১৬৭টি গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম। বাংলাদেশকে বলা হয় হাইব্রীড গণতন্ত্র। অথচ যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রকাশ করা ২০২৩ সালের গণতন্ত্র সূচকে (ডেমোক্রেসি ইনডেক্স) ভারতের অবস্থান ৪১তম। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। এ অবস্থায় ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে গণহত্যা করে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে চান। অতঃপর ছাত্রজনতার সমর্থন নিয়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। শুরু হয় সংস্কার কার্যক্রম। সংস্কারের নামে দেশের গণতন্ত্র যাতে চাপা পড়ে না যায়, তথা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে যাতে তালবাহানা না করা হয় তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল প্রশ্ন তোলার আগেই আগামী নির্বাচনের টাইমফ্রেম জানিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান। আগামী নির্বাচনের টাইমফ্রেম তথা ভোটের বার্তা পাওয়ায় বিদেশিদের কাছে থেকে বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনূসের সহায়তা আদায় সহজতর হবে। কারণ ভারত গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে শুধু আশ্রয় দেয়নি; বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানাভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কান ভারি করার মিশনে নেমেছে।

জানা গেছে, আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে সংস্কার কমিশনগুলো কাজ শুরুর কথা থাকলেও ড. বদিউল আলম মজুমদার ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মূলত কয়েক যুগ ধরে তিনি নির্বাচন নিয়ে কাজ করায় তার পক্ষে এটা সহজ হচ্ছে। এর মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ব্যানারে ‘বাংলাদেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ’ শীর্ষক এক সংলাপের আয়োজন করা হয়। এতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছাড়াও বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিবষদ, গণফোরাম, গণসংহতি আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের নেতারা নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়াদি সম্পর্কে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

এসময় সাবেক নির্বাচন কমিশনার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগপ্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যত ভালো কমিশন গঠন হোক, ভালো নির্বাচন করতে হলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনে দায়মুক্তির বিধান করে আইন করায় আগের নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিসের ভূমিকা পালন করেছে। রাজনৈতিক ঐকমত্যের ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইসি গঠনে প্রস্তাব করা হবে।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঢাকা সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যাই ঘটুক না কেন’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তিনি জানান, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো শেষ করতে পারে এবং ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টের শুরুর দিকে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং তার সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ফলে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেন।

এরপর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে দেশের প্রধান প্রধান খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এমন অবস্থায় ইউনূস প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি পথনির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।’

দায়িত্ব নিয়েই ১৭ কোটি মানুষের দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করতে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। এসব সংস্কার অনুসরণ করে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের কাজ সম্পন্ন হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওয়াকার-উজ-জামান। তবে এর জন্য ধৈর্য্যরে প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির কয়েক সপ্তাহ আগে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করা সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলবো, এ সময়সীমার মধ্যেই আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হাসিনার আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-উভয়ই এর আগে দাবি করেছিল যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সেনাবাহিনী এ সরকারের দেশ স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে তিনি প্রতি সপ্তাহে একবার দেখা করেন। তাদের মধ্যে ‘খুব ভালো সম্পর্ক’ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রশাসনের নাটকীয় পতনের পর সিভিল সার্ভিসের কিছু অংশ এখনও সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার সদস্য এখনও বিশৃংখল অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী আইন-শৃংলার রক্ষার দায়িত্ব পালনে নানা কার্যক্রম করছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি এমন কিছু করব না যা সেনাবাহিনীর জন্য ক্ষতিকর হয়। আমি একজন পেশাদার সৈনিক। আমি আমার সেনাবাহিনীকে পেশাদার রাখতে চাই।’

দীর্ঘ মেয়াদে জেনারেল ওয়াকার সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে রাখতে চান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সেনা রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান সেনা প্রেরণকারী হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা কেবল তখনই সম্ভব যখন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার কিছুটা ভারসাম্য থাকে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে।’

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। আর এই মন্ত্রণালয় সাধারণত প্রধানমন্ত্রী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ব্যবস্থাটি সংশোধনের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিকের রাজনীতিতে জড়িত হওয়া উচিত নয়।’

সর্বশেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও