আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রফতানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণসাপেক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয়া হলো। বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে স্বীকৃত ইলিশ। টানা পাঁচ বছর ধরে ভারতে ইলিশ রফতানি করে আসছে বাংলাদেশ। যদিও ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রফতানি বন্ধ ছিল। প্রায় প্রতিবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়ে থাকেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। তবে এবার ইলিশ আহরণ কম হওয়ায় আগে দেশের চাহিদা পূরণ পরে রফতানির সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বজায় রাখতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি অনুমোদন দেয়া হয়।
এদিকে রফতানির জন্য সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রফতানি-২ শাখা, কক্ষ নম্বর ১২৭, ভবন নম্বর ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
তবে উল্লিখিত সময়সীমার পর প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া যারা এরইমধ্যে আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র মতে, বাংলাদেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এর বার্ষিক উৎপাদন পাঁচ লাখ একাত্তর হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
মে-জুন থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইলিশ আহরণের মৌসুম। এই সময়টাকে ‘পিক টাইম’ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। যদিও এবার ইলিশ আহরণ আগের থেকে কিছুটা কম।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার বলছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার এই সময়টায় মাছের দেখা মিলছে ‘খুবই কম’। এদিকে, গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রফতানি হবে, এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রফতানি করা হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৯
পাঠকের মন্তব্য