পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ও আর্থিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে : অর্থ উপদেষ্টা

ছবি সংগ্রহ
ছবি সংগ্রহ
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির আওতায় এই অর্থ দেওয়ার বিষয়ে নতুন চুক্তি বাস্তবায়ন করে দুই দেশ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইউএসএআইডি’র ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্র্যান্ট একটি এগ্রিমেন্টের অনুদান সংশোধনী চুক্তি স্বাক্ষর করে। যুক্তরাষ্টের প্রতিনিধি দলে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সাথে চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদলের সাথে আলাপ করেছি। আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সাথে। বিশেষ করে সুশাসন নিশ্চিতে আর্থিক সংস্কার এবং আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা। দ্বিতীয়ত: বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যে চুক্তি আগে হয়েছিল সেটার সাথে আরো ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সাথে এটি যুক্ত হয়েছে। তারমানে আরো বাড়তি টাকা তারা দেবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে এবং আর্থিক খাতে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা পরে বিস্তারিত জানাবো। কর সংস্কারের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব আলাপ হয়েছে।

ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর বলেন, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা এখন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করবো। এ চুক্তি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

অঞ্জলি কৌর বলেন, এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। এর মানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা। আমরা স্বাস্থ্য, শাসন ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তারা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ এখানে মূল অগ্রাধিকার। আমি ড. ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা সামনে এক সঙ্গে আরো কাজ করার প্রত্যাশা করছি।

চুক্তি সম্পর্কে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২৬ সালের জন্য সরকার ও ইউএসএইড এর একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি বাস্তবায়নেন জন্য মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতিমধ্যে পঞ্চম এমেন্ডমেন্টের মাধ্যমে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। নতুন চুক্তির মাধ্যমে আরও ২০২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার এতে যোগ হলো।

সর্বশেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও