হাসিনা-রেহানা-শাহজাহান-মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ

ছবি সংগ্রহ
ছবি সংগ্রহ
মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্সঃ

মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের মালিকানাধীন ঢাকার গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স-২ ব্যবসা প্রতিষ্টান ও অফিস বিক্রির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুর্নিতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে লিখিত আবেদন করেছেন গুলিস্তান শপিং কমপ্লে´ ২ এর ব্যবসায়ী এবং ভুক্তভোগী মোঃ মান্নান মিয়া।

লিখিত অভিযোগ তিনি উল্লেখ করেন, পদাধিকার বলে দায়িত্বে থেকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের টাকা পয়সা লুটপাটে জড়িত ছিলেন সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার ফজলুল হক, এমডি মাহাবুবুর রহমান, প্রশাসক সাজ্জাদুল ইসলাম, দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জি: লিমিটেডের এসএম আলাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম অপু, শেখ রেহানা , সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ সহ আরো কয়েকজন।

মান্নান বলেন, গুলিস্তান শপিং কমপ্লে´-২ এ ১০ তলার স্পেস নং-৯/২১-২৫ ১৫১৫ বর্গফুট আয়তনের উক্ত পজেশন ২১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা সালামীর মাধ্যমে ক্রয়ের পর দেখতে পাই মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নামে বরাদ্দকৃত জমিতে ২০ তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য ২০০১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স এর মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেখানে ভবন নির্মাণসহ ভবন নির্মাণের পর অফিস, দোকান বিক্রিসহ হস্তান্তর এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব “দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স” কে দেয়া হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে প্রতি মাসে সালামী হিসেবে ১,৮৪,০৯,৮০০ টাকা প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয়।

বিশাল আকারের ভবনটি নির্মাণের জন্য কোন প্রকার ডাউন পেমেন্ট ছাড়া ৫ লক্ষ টাকা ফেরত প্রদান সাপেক্ষে চুক্তি সম্পাদিত হয়। পদাধিকার বলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের রক্ষনাবেক্ষনের মুল দায়িত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীসহ অভিযুক্তরা। কিন্তু তারা উক্ত জমিতে ২০ তলা ভবন নির্মান সহ ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে ভবনের নির্মিতব্য দোকান ও অফিস কম মূল্যে বিক্রয় করার জন্য “দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স” এর সহিত চুক্তি করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের ৫০শতাংশ হারে শেয়ার হলেও ৩শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। হারুন গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্সে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সকল অভিযুক্তদের সহায়তায় ডিডে উল্লেখিত মূল্যের অধিক মূল্যে দোকান পাট ও অফিস বিক্রয় করিয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সহিত প্রতারনা ও চাঁদাবাজি করে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছে।এ ব্যাপারে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আত্মসাৎকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে জরুরীভাবে পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও