শেখ হাসিনাসহ আ’লীগ সরকারের মন্ত্রী এমপি ও দলীয় ক্যাডারের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত বুধবার আবদুর রাজ্জাক নামে এক ভুক্তভোগীর দায়ের করা এ মামলায় ২১ সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এ মামলার আসামিদেরে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলায় মন্ত্রীদের মধ্যে আসামির তালিকায় রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন- বাংলা টিভির নজরুল কবির, নিউজ-২৪-এর রাহুল রাহা, ডিবিসির মঞ্জুরুল ইসলাম, কালের-কণ্ঠের হায়দার আলী, দৈনিক কাল বেলার আজমল হক ফরাজী, বাসস এর স্বপন বসু, ভোরের কাগজের ইখতিয়ার উদ্দিন, যায়যায় দিনের অরুন কুমার দে, বাংলা ইনসাইডারের সৈয়দ বোরহান কবির, ডিইউজের নেতা খায়রুল আলম, ইউএনবির করিম ওয়াহিদ, নিউজ-২৪-এর আশিকুর রহমান শ্রাবণ, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল আলম, কালের-কণ্ঠের সামনুনুল আলম তুষার, নিউজ-২৪-এর জয়দেব দাস, সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ডিবিসির জায়েদুল আহসান পিন্টু, মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ মুহম্মদ জামাল হোসাইন প্রমুখ।
এর আগে গত রোববার একই থানায় ইমরান হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা কোহিনূর আক্তার অন্যান্যদের সঙ্গে হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির সাবেক উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা, সময় টেলিভিশনের উপদেষ্টা মোরশেদুল ইসলাম, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তা-প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাংবাদিক নজরুল কবির, সময় টেলিভিশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, এটিএন নিউজের সাবেক বার্তা-প্রধান মুন্নী সাহা, একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও শাকিল আহম্মেদকে আসামি করেন।
মামলায় আসামি করা প্রসঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছে, অতীতে সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে উপেক্ষা করে অনেক সাংবাদিক দলীয় দালালে পরিণত হয়ে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশার যে অপরিসীম ক্ষতি করেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এ তথ্য দেন। দালালদের বিষয়ে এমন সরল স্বীকারোক্তি দিলেও এই দুই সাংবাদিক নেতা সুনির্দিষ্টভাবে দালালদের নামের তালিকা প্রকাশ করেননি।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে তা যেমন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-ভাবে মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে।
একই সাথে স¤প্রতি দায়ের করা হত্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
সর্বশেষ আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬
পাঠকের মন্তব্য