মৌলভীবাজারে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ৬টি উপজেলায় বন্য দেখা দিয়েছে। পানিবন্ধি রয়েছেন ৬ উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ। জেলার সবকটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার অধিকাংশ গ্রামীন রাস্তা তলিয়ে গেছে। আঞ্চলিক সড়কের অনেক স্থানে পানি উঠেছে। বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। অনেকেই আবার নিজের বাড়ি-ঘর রক্ষায় সেচ্ছাশ্রমে বাঁধের উপর বালির বস্তা ফেলছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ১৯ জুন দুপুর ১২ টায় মনু নদীর পানি শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন উর্মি বিনতে সালাম জানান, বন্যায় জেলার ৬ উপজেলা মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩৭ ইউনিয়নের ৪৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধি রয়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। ৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ ৫৭১টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।
সর্বশেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪, ০১:৪৬
পাঠকের মন্তব্য