বরগুনা প্রতিনিধি:- বরগুনা পৌর শহরের কেজিস্কুল এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে একজন বৃদ্ধ (৭৫) ও এক যুবকের (২৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধকে রাতে আঁধারে কাউকে না জানিয়ে দাফন করেছেন স্বজনরা। তবে যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত ভোর রাতে পৌর শহরের কেজিস্কুল ক্রোক এলাকার গোলাম সরোয়ার নান্টু ছেলে মাইনুর রহমান নিশাত (২৭) মারা যান। স্বজনরা জানান, নিশাত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মধ্যরাতের পর তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্ত কোনো চিকিতসক সাড়া দেননি। হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। পরে ভোররাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করেছে, বাড়ি লক ডাউন করেছে প্রশাসন। ওই যুবকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী পালিয়ে পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান। স্থানীয়রা ওই বাড়িটি লকডাউন করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে।
সকালে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট নিজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে বরগুনা গনকবরে নিশাতের মরদেহ দাফন করেছে বরগুনা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল।
অপরদিকে রবিবার দিবাগত রাতে কেজিস্কুল এলাকার ডাক্তার বাড়ি সড়কে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে এক বৃদ্ধ মারা যান। বৃদ্ধের স্বজনরা বিষয়টি গোপন রেখে রাতের আঁধারেই গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মারা যাওয় বৃদ্ধ তার মেয়ে জামাই রিয়াজ খাঁনের বাসায় থাকতেন। তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করতেন। কিন্ত তাঁর মৃত্যুর পর স্বজনরা বিষয়টি গোপন রেখে রাতেই গ্রামের বাড়ি ঢলুয়া ইউনিয়নে দাফন কার্য সম্পন্ন করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বৃদ্ধের মেয়ে জামাই রিয়াজ খান বলেন, তাঁর শ্বশুড় আগে থেকেই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিলেন, করোনার উপসর্গ ছিলোনা। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে রাতেই দাফন করা হয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, মৃত যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তবে বৃদ্ধের বিষয়টি স্বাস্থ বিভাগের জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১৬:০৩
পাঠকের মন্তব্য