৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারনায় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করে শাহজাহান খানের পক্ষে প্রচারনার চালাছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রওনক আহমেদ।

মঙ্গলবার ১৪ মে দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ তোলে ধরে রওনক আহমেদ অপু বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। রাজনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হই। চেয়ারম্যান পদে অপর দুই প্রার্থী হলেন  মোঃ শাহজাহান খান, (কাপ পিরিচ প্রতীক) এবং মাওলানা আহমদ বিলাল (আনারস প্রতীক) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরন বিধি’র ২২ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য নির্বাচন পূর্ব প্রচারনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের সংসদীয় আসন মৌলভীবাজার-৩ এর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শাহজাহান খানের পক্ষে অব্যহত ভাবে নির্বাচনী প্রচারনায় কাজ করে চলেছেন।

বিগত ০৭/০৫/২০২৪ইং তারিখে উনার নিজ বাড়ীতে এবং ১০/০৫/২০২৪ইং তারিখে ডেফলউড়া জামে মসজিদে মুসল্লীদের সাথে আলোচনার সময় পক্ষপাতীত্বমূলক বক্তব্য রাখেন। এক-ই তারিখে মাথিউড়া চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চা শ্রমিকদের সাথে আলাপ-আলোচনায় স্পষ্ঠতই শাহজাহান খানের পক্ষ অবলম্বন করে বক্তব্য রাখেন।

এমনিভাবে ১০/০৫/২০২৪ইং তারিখে রাজনগর মোহাম্মদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহজাহান খানের পক্ষে এবং আমার বিপক্ষে কথা বলেন।

এইরূপ পক্ষপাতিত্বমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন আচরনবিধি লংঘন করেই চলেছেন।

সংসদ সদস্য আমাদের সকলের কাছে একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। এবং তিনি যখন কোন ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে প্রচারনা চালান তখন তা সাধারণ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং সম্মানিত সংসদ সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

সংসদ সদস্যের এ প্রচারনায় ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমার কর্মী সমর্থকরা এবং রাজনগর উপজেলার সাধারণ মানুষ ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

একজন সংসদ সদস্য যখন আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শাহজাহান খানের পক্ষে প্রচারনা চালান তখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত মাঠ আর সমতল থাকে না। আমি এবং আমার সমর্থক ও সম্মানিত ভোটাররা শঙ্কিত এই ভেবে যে, নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না?

বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মৌলভীবাজার ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার এর সাথে দেখা করি এবং লিখিত আকারে আবেদনের মাধ্যমে এর প্রতিকার প্রার্থনা করি।

ইতোমধ্যে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত আবেদন করি। কিন্তু অদ্যাবধি সংসদ সদস্য রাজনগরে অবস্থান করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শাহজাহান খানের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শাহজাহান খান উপজেলা ব্যাপী তাঁর নির্বাচনী বক্তব্যে এম.পি র তাঁর প্রতি সমর্থনের কথা বলে চলেছেন।

এ বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং নির্বাচনকালীন সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।