রাজনগরের মাথিউড়া চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়মিত মুজুরী ও বোনাস পাওয়ার দাবীতে কর্মবিরতি পালন করেছে।
বুধবার সকাল থেকে বাগানের ব্যবস্থ্যাপকের বাংলোর সামনে প্রায় ৬০০ শ্রিমিক কাজে না গিয়ে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে। ২০ মার্চ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুজুরী ও বোনাস না দিলে বিভিন্ন বিক্ষোভ
কর্মসূচি দেবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে। বাগান শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউয়িনের মাথিউড়া চা বাগানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৭০০ শ্রমিক রয়েছে। সাপ্তাহিক হাজিরা প্রতি
বৃহস্পতিবারে দেয়ার নিয়ম থাকলেও বিগত তিন মাস থেকে বাগানের শ্রমিকরা নিয়মিত হাজিরা পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবারের মুজুরী কখনো রবিবার বা সোমবার আবার কখনো মঙ্গলবার পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ সময়মতো মুজুরী দিতে না পারার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরছেন। এছাড়াও বাগানে প্রতিবছর দূর্গা পূঁজা ও লাল পূঁজার ১ সাপ্তাহ আগে বোনাস দেয়া হয়। কিন্তু আগামি রবিবারে লাল পুজা থাকলেও এখন পর্যন্ত বোনাস পায়নি শ্রমিকরা। এসব কারণে গতকাল বুধবার সকাল থেকে চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোর সামনে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে। বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য রাখেন, বাগানের ইউপি সদস্য সত্যনারায়ন নাইডু, পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড়, বাবুলাল গৌড়, নবমী রাজভর, শ্রীকুমারী রবিদাস প্রমুখ।
মাথিউড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড় বলেন, বিগত তিন মাস থেকে আমরা নিয়মিত মুজুরী পাচ্ছি না। প্রতি বৃহস্পতিবারে মুজুরী দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা পরের সাপ্তাহে গড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। এনিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখান। আমরা খেটেখাওয়া মানুষ। আমরা নিয়মিত মজুরী না পেলে কীভাবে চলবো? এব্যাপারে জানতে মাথিউড়া চা বাগানের ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাগানের সহকারী ম্যানেজান সাইদ চৌধুরী বলেন, বিগত কয়েকদিন থেকে কোম্পানি বিরাট আর্থিক লোকসান দিচ্ছে। অর্থ সংকটের কারণে আমরা অফিস স্টাফরাও ৪ মাসের বেতন পাচ্ছি না। তবে, শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। হয়তো দুএকদিন দেরি হচ্ছে। অর্থ ষংকটের কারনে বোনাসও সময়মতো দেয়া যাচ্ছে না। আশারাখি কিছু দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪, ০২:০৩
পাঠকের মন্তব্য