জুড়ীতে দেবরকে গ্রেপ্তারের সময় বৃদ্ধা ভাবির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলা সাঙ্গন গ্রামে ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও নিহত বৃদ্ধার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে জুড়ী থানার এসআই ফরহাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম,ওই বাড়িতে চাম্পা বেগমের (৬৫) একটি মামলার আসামি তাঁর দেবর মকবুল আলী বলাইকে ধরতে হানা দেন। এ সময় চাম্পা বেগমের ঘরে আসামিকে না পেয়ে পাশের ঘর থেকে আসামি মকবুল আলীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর চাম্পা বেগম হৃদযন্ত্রর ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরন করেন।
চাম্পা বেগমের মেয়ে হাসিনা বেগম বলেন, আমার ভাই পর্তুগাল প্রবাসী। পরিবারে আমার মা ভাবি ও ভাইয়ের দুই শিশু সন্তান ছাড়া আর কেউ নেই। আমার চাচা মকবুল আলীর নামে একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় ঘটনার রাতে পুলিশ আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় পুলিশ আমার চাচার ঘরে না গিয়ে প্রথমে আমাদের ঘরে তল্লাশি চালায়। এ সময় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আমার অসুস্থ মা মৃত্যু বরণ করেন। প্রতিবেশী শামসুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এরকম মৃত্যু কখনো আশা করি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন বলেন, পুলিশ আসামি ধরে নেওয়ার পর বৃদ্ধা চাম্পা বেগমের মৃত্যুর খবর জেনেছি। সাবেক জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন,বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বৃদ্ধা চাম্পা বেগম আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। পুলিশ আসামির ঘর চিনতে না পেরে ভুলবশত তাদের ঘর তল্লাশি করেন। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। তিনি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, আসামি ধরতে পুলিশকে আরো সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, আসামি গ্রেফতারের সময় মৃত্যুর ঘটনাটি আমার জানা নেই।
সর্বশেষ আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২৩:২৬
পাঠকের মন্তব্য