মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দ টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৮ জন ইউপি সদস্য।
চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে ইউএনও’র এমন বক্তব্যে সংক্ষুব্ধ মেম্বারগণ ৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন, ডিপ টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ইউনিয়নের শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ডিপ টিউবওয়েল না দিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে নিচ্ছেন।
এ নিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মাঝে মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয় এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে রক্ষিত রয়েছে। ইউপির মাসিক সভায় মেম্বারগণ এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান গত ৩ মাস যাবৎ মাসিক সভা বন্ধ রেখেছেন। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত সরকারি, আধা- সরকারি (টিআর/কাবিখা) কাজে ১ শতাংশ, অন্যান্য প্রকল্পের কাজ না করে চেয়ারম্যান নিজে মনগড়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে প্রকাশ- ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইউপি’র জন্য বরাদ্দকৃত অনুদানের টিআর, কাবিখা ইত্যাদির, হাটবাজার ও স্থানীয় সরকারের সকল বরাদ্দের এবং ইউপি’র আয়ব্যয়ের হিসাব মেম্বারগণকে অবহিত না করে ও কাজ না করিয়ে নিজের ইচ্ছামতো বিল তুলে নেন। প্রতিমাসে টিসিবির মালামালের কিছু অংশ বিতরণ করে বাকী মালামাল নিজে বিক্রিসহ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে আসছেন। এসব বিষয়ে ইউপি সচিবও কোন সদুত্তর দেননা।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের অনিয়মে ইউপি সচিবও সহযোগিতা করছেন। তবে ইউপি সচিব তার ওপর অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নে টিসিবির মালামাল বিতরণ হচ্ছে শুনে আমিসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা ইউনিয়নে উপস্থিত হয়ে দেখি পুরো মালামাল ডিলারের কাছে নেই। অবশিষ্ট মালামাল কোথায় জানতে চাইলে ডিলার বলেন এগুলো চেয়ারম্যানের বিষয় আপনাদের জানার অধিকার নেই।
পরবর্তীতে বিষয়টি ইউপি সচিবকে অবগত করলে তিনি ইউনিয়নের অতিথি রুম থেকে ২ লিটার ওজনের ৩৬ বোতল সয়াবিন তেল, ২ কেজি ওজনের ৩৬ প্যাকেট ডাল ও কেজি ওজনের ৩৬ প্যাকেট চাল বের করে দেন।ডিলার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এ মালামাল অতিথি রুমে রেখেছেন।
মনুমুখ ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন বলেন,দাখিলকৃত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট, কয়েকজন সদস্য তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আমার মানহানী করার লক্ষ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে ডিসির কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।
জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম বলেন,অভিযোগের বিষয়টি অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব।
সর্বশেষ আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২১:২২
পাঠকের মন্তব্য