মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন জগৎপুর এলাকার একটি দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি ও উক্ত মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে জড়িয়ে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই এটি একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ও যাকে ভিকটিম হিসেবে সাজানো হয়েছে উভয়ই।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমি ভালো ছাত্রী হওয়ার পরেও গত পরিক্ষায় একটি বিষয়ে খারাপ করি, এবং আমার ছোট বোনও এবার দাখিল পরিক্ষার্থী যার দরুন এবার আমার বোনের সাথে পরিক্ষা দিতে হবে এরজন্য আমি অনেকটা চিন্তাগ্রস্ত মনে মনে নিজের প্রতি লজ্জিত ছিলাম সেই লজ্জা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন প্রকাশিত সংবাদে আপনি ৩ মাসের গর্ভবতী এবং দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি কতৃক প্রায় বছর ধরে ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভধারণ করেছেন এবং সেই সাবেক সভাপতি মিছবাহ মিয়ার কাছে আপনি বিষয়টি প্রকাশ করেন তখন তিনি আপনাকে বিষ খাওয়ার কথা বললে আপনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি তিনি (সদ্য সাবেক সভাপতি) আমার মামাতো বড় ভাই হন, ওনাকে জড়িয়ে যারা এসব মিথ্যাচার করছে আমি তাদের বিচার চাই। প্রশ্ন করা হয় আপনিতো নিজেই কয়েকজনের কাছে স্বীকার করেছেন এসব বিষয় সত্য তাহলে এখন অস্বীকার করছেন, আপনি কি কোনো ধরনের হুমকি বা প্রলোভনের সম্মুখীন হয়েছেন যার জন্য অস্বীকার করছেন? তখন তিনি বলেন না -আমি কোনো হুমকি বা প্রলোভন পেয়ে মিথ্যা বলছিনা যা বলছি তা সত্য, তবে আমার মনে পড়ছে, আমি যখন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ছিলাম তখন আমার প্রতিবেশী মিতালী বেগম ও সায়মন মিয়া আমাকে দেখতে আসে এবং ব্যাক্তিগত কিছু কথা আছে বলে আমার সাথে থাকা চাচা, মা, চাঁচি সহ অন্যান্যদের নিচে নামিয়ে দেয় এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, মোবাইলে অন্য একজনের সাথে কথা বলে এবং তার শেখানো কথা আমাকে বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আর ভিডিও ধারণ করে, আমি যেহেতু অসুস্থ ছিলাম সেহেতু তাদের শেখানো কথা বলা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলোনা, এখন সেই রেকর্ড দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আমাকে মানষিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
মুঠোফোনে সায়মন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়ে মুঠোফোনে মিতালী বেগমের কাছে জানতে চাইলে ভিডিও করা ও কোনো ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার কথা অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দাখিল মাদ্রাসার সদ্য সাবেক সভাপতি মিছবাহ মিয়া বলেন, আমি প্রতিপক্ষের চক্রান্তের স্বীকার, আমি নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক ভোটের মাধ্যমে অত্র মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত হই, বিগত প্রায় দুই বছরে বিভিন্ন আত্মীয়- স্বজন,বন্ধু, বান্ধব ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে মাদ্রাসার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করি এবং আমার সময়ে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের লেখা-পড়ার মানও বাড়তে থাকে যার প্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকে, এতে করে আমার প্রতিপক্ষ মাদ্রাসার এক সাবেক সভাপতির ছোট ভাই সহ কয়েকজনের একটি দুষ্ট চক্র আমি নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাস পর থেকে আমার পেছনে লেগে আছে আমার মাধ্যমে মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তারা বাঁধা হয়ে দাঁড়াত এ নিয়ে অনেক বিচার সালিশ হয়েছে, কয়েকদিন শান্ত থাকলেও পরে আবাও তারা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র লিপ্ত হয়। আমাদের মাদ্রাসার নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিক ও মানষিক ভাবে হেয় করার জন্য এই জগণ্য কাজ করছে বলে আমি মনে করি এবং সবার কাছে এই কুচক্রীদের বিচার চাই।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার নেজাম চৌধুরী বলেন, মেয়েটি আমার মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রী ছিলো এবং মিছবাহ মিয়া তিনিও সাবেক সভাপতি তাই অনুরোধ করব আমার মাদ্রাসার নামটি ব্যাবহার না করার জন্য, তাছাড়া ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই তবে মেয়েটি বিষ খেয়েছে বলে শুনেছি এবং মিছবাহ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত আমাদের কমিটির সভাপতি ছিলেন আমাদের কাছে কখনো তার কোনো খারাপ চলাফেরায় চোখে পড়েনি, তিনি খুব ভালো মানুষ হিসেবেই আমি জানি।
সর্বশেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:২১
পাঠকের মন্তব্য