মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ছয়শ্রী গ্রামের কৃষক আবু তাহের প্রথম বারের মতো বারি-৮ জাতের টমোটো চাষ করে বাজিমাত সৃষ্টি করেছেন।
৩০ শতাংশ জমিতে বারি-৮ জাতের হাইব্রিড টমেটো চাষ করতে সবমিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রথমবারের মতো এ জমি থেকে টমেটো নামিয়ে বিক্রি করেছেন ৬০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। এতে তার মোট খরছের ৩ভাগ উঠে এসছে।
আরও ২ লক্ষ টাকার টাকার টমেটো বিক্রির আশা করছেন কৃষক আবু তাহের।কুষক আবু তাহের জানান, ৩০ শতাংশ জমিতে লালতীঁরের বারী-৮ জাতের টমোটো লাগাই। মাঠ তৈরি, রুপণ, পরিচর্যাসহ টমোটো গাছে আসা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। প্রথম বারেই টমেটো বিক্রি করে তার মূলধনের ৩ভা উঠে এসেছে।
প্রথবার তিনি ১০০০ কেজি টমেটো ৬৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৫২ টাকা কেজি চলছে । ক্ষেতে যে টমেটো আছে, তা থেকে তিনি আরও দুই লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান কুষক আবুতাহের।কৃষক আবুতাহের আরও জানান, তার জমিতে ফলন দেখে আশপাশের কৃষকরা এ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি লাববান হওয়ায় অন্যান্য চাষিদের এ জাতের টমেটো চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামীতে ৬০ শতাংশ জমিতে বারী-৮ জাতের হাইব্রিড টমেটো চাষ করবেন বলে জানান।
লালতীঁর সীড কোম্পানির সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা তাপশ চক্রবর্তী জানান, কৃষক আবুতাহেরকে প্রথম বার বারী-৮ জাতের হাইব্রিড টমেটোর বীজ দেওয়া হয়। এ জাতের বীজ- উচ্চ ফলনশীল, এতে রোগ-বালাই ও পোকা=মাকড় কম ধরে। প্রথমবারের মতো এ জাতের টমোটো চাষ করে তিনি মূলধনের ছেয়ে তিনগুণ লাভবান হয়েছেন তার।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা লাভবান হলে আমাদের আনন্দ লাগে। আমি চাই এ গ্রামের সকল চাষি অন্যান্য সবজির পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের বারী-৮ টমেটো চাষে এগিয়ে আসুক। অবশ্যই তারা আবুতাহেরের মতো লাভবান হবেন। একদিন এ গ্রামটিও শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের করলা গ্রামের মতো পরিচিতি লাভ করবে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৪০
পাঠকের মন্তব্য