জাতির পিতা’র জন্মদিনে ১০০ পাউন্ডের কেক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বরগুনা জেলা প্রশাসনের  বর্ণাঢ্য কর্মকান্ডের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ডিসি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল নয়টায় ডিসি অফিসের সামনে “মুজিব অঙ্গন” এ ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা ১ আসনের মাননীয় এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নাদিরা সুলতানা, বরগুনার জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার জনাব মারুফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিগণ। ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণ শেষে জাতির পিতার রুহের মাগফেরাত ও করোনা ভাইরাসসহ সকল দূর্যোগ থেকে দেশ ও জাতির রক্ষার জন্য মোনাজাত করা হয়।

পরবর্তীতে সকাল সাড়ে দশটায় ডিসি অফিসের সামনে  ১০০ পাউন্ডের কেক কেটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিক ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। কেক কাটার পূর্বে সবচেয়ে কম বয়সী ক্ষুদে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সকলের সামনে উপস্থাপন করেন।

এ সময়ে ১০০ জন ক্ষুদে বঙ্গবন্ধু মুজিব কোর্টে সজ্জিত হয়ে  ও ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল-সবুজ রংয়ের নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব আ. রশিদ মিয়া বলেন, “বরগুনার ইতিহাসে এতো বড় কেক কেটে কখনো মুজিব জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়নি। ডিসি স্যার আজকের দিবসকে কেন্দ্র করে যে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন এবং এতগুলো মুক্তিযোদ্ধাকে একসাথে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়ে যে সম্মান দেখিয়েছেন তাতে আমরা সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত। বরগুনার ডিসি মহোদয় বলেন, “জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশসহ পুরো পৃথিবীতে যে উৎসব আয়োজন করা হয়েছে তার ক্ষুদ্র অংশ হতে পেরে জেলা প্রশাসন,বরগুনার সকলে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছে।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুয়ায়ী বছরব্যাপী মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার সকল দপ্তরের অনুষ্ঠান কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।” মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক, এডিসি (জেনারেল) মহোদয় বলেন, “ সকলের সহযোগিতায় আমরা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে আনন্দঘন পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করতে পেরেছি। এজন্য সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।” এছাড়াও সকাল ১১টায় বরগুনা সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শতাধিক পথশিশুর মধ্যে নতুন কাপড় ও খাবার বিতরণ করা হয়।

বিকাল সাড়ে পাঁচটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন,বরগুনা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের কল্যাণ কামনা করে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মৃতিময় করার জন্য পুরো শহর জুড়েই বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়। সন্ধ্যায় আতশবাজি উপভোগ করার জন্য জনসাধারণ সার্কিট হাউজের সামনে ঈদগাহ মাঠে জড়ো হন। রাতে ডিসি অফিস, সার্কিট হাউজসহ পুরো শহরের আলোকসজ্জা জনগণ উপভোগ করেন।

সর্বশেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০, ০০:৫৮
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও