মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবন কুমার সুত্রধর এর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ নিরব ভুমিকা পালন করছে। একই কর্মস্থলে ৩৫ বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
জীবন কুমার সুত্রধর বরুণা ব্লকের দায়িত্বে থাকলেও তার ক্ষমতার বলে পুরো ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। বোরো আবাদে সরকারের বরাদ্দকৃত সার, বীজসহ ফসলের উন্নত জাত, প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্থাপন, মাঠ দিবসসহ বিভিন্ন খাতের টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। প্রকৃত কৃষক ছাড়াই তার কথা মতে সব ব্লকের সার বীজের ভুয়া তালিকা দেখানো হয়েছে। ব্লক বা মাঠ পরিদর্শন না করেই মনগড়া অনিয়মিত অফিসসহ বাসায় বসে করছেন এমন কাজ।
দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ কালাপুর ইউনিয়নে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এই ক্ষমতাধর কর্মকর্তা। এতে করে অনেকটাই ক্ষতি সাধন হচ্ছে হাওর অঞ্চলের কৃষকদের। ভুট্টা, পেঁয়াজ, সরিষাসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী না করেই মিথ্যা ভাউচারে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তার নামে। যে কারণে কৃষিতে কাজে আসছে না সরকারি বরাদ্দ। তার দাপটের কারণেও কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অত্র ইউনিয়নে কাজ করতেও পারছেন না। নানা অজুহাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও বদলি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কালাপুরের কৃষক ময়না মিয়া, কয়ছর মিয়া, রুবেল মিয়া, রুহুল আমিন, সজল দেব, সংগ্রাম দেব, চেরাগ মিয়া, বারিক মিয়া কৃষক গংরা জানান, তারা সরকারের বরাদ্দকৃত প্রর্দশনীসহ সার ও বীজ পাননি কোনদিন। বিঘা বিঘা জমি থাকার পরও পায়নি কোন সময় কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ। দেখাও মিলে না মাঠে এই কৃষি কর্মকর্তার কোনদিন। তারা আরোও জানান, টাকা ছাড়া নাকি সার ও বীজ পাওয়া যায় না। জীবন কুমার সুত্রধর ও তৌফিক আহমেদ লস্করের কাছে গেলে এসব সার ও বীজ চেয়ারম্যান মেম্বাররা বন্টন করেন বলে কৃষকদেরকে সরিয়ে দেন।
যার ফলে সরকারের উদ্যোগের খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জিং মোকাবিলায় ফসলের উন্নতজাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। এমন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তৌফিক আহমেদ লস্কর নামের আরেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও। ঘুষ ছাড়া পাচ্ছেন না কেউ সরকারের ভুর্তকির কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বরাদ্দের সার ও বীজ।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, উনি একজন অসুস্থ লোক উনার অনেক অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। সার ও বীজ ভুর্তকি এবং কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যাপারে তিনি বলেন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
সর্বশেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪২
পাঠকের মন্তব্য