পুলিশে সোপর্দের পরও যুদ্ধাপরাধী আসামীদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

---বরগুনা: বরগুনার যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আন্তর্জাাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরওয়ানাভুক্ত ছয় আসামীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদি ও মুক্তিযোদ্ধারা মঙ্গলবার বরগুনা পেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেণ।

মঙ্গলবার বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী শহীদ পরিবারের সদস্য, মিজানুর রহমান আবু সহ পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল খালেকসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করেণ। এসময় লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদির অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার পর ৩১ ডিসেম্বর ট্রাইবুনাল পাথরঘাটার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান, ফজলুলহক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেণ। এ আদেশ মেইলে পুলিশের নিকট পৌঁছানোর পরে বাদী মুক্তিযোদ্বের নিয়ে আসামী ফজলুল হককে আটক করে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করে। পুলিশ হাতকড়া দিয়ে ভ্যানে করে নিয়ে আসে। পরের দিন ১ জানুয়ারী তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। একইভাবে আবদুল মান্নান কেও কালমেঘা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে মান্নানের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গোপন পুলিশি পাহারায় রেখেছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বরগুনা -২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন প্রভাব বিস্তার করে আসামীদের বাঁচানোর পাঁয়তারা করছেন।

এসময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে রাজাকার কমান্ডার খলিলুর রহমানের ছেলে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছেন। তিনি এইসব রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রিমনের মদদেই রাজাকার থেকে আবদুল মান্নান বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে পাথরঘাটার সাবেক মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার, আঃ খালেক, শহীদুল আলম তালুকদার, মনি মন্ডল,শহীদুল ইসলাম মুকুল তালুকদার, (অবঃ) সেনা কর্মকর্তা আঃ আব্দুস ছালাম,মুক্তিযোদ্ধা, আলি আকবর, আঃমন্নান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ করা হলে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুরর রহমান রিমন মুঠোফানে বলেন, বাদি ও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ¯্রফে বানোয়াট ও মনগড়া, ওনারা সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা। আমি ওনাদের সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, কিন্ত আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এজেন্ডা নিয়ে ওনারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনছেন, যা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সাইদ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আনীত অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, কোন আসামী আমার জানা মতে কেউ ধরিয়ে দেয়নী এবং আদালত কর্তৃক কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা পাইনী তিনি আরো বলেন, আদালত কর্তৃক কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা না থাকলে যার তার কথায় কোন আসামী গ্রেফতার কারা যায়না।

সর্বশেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০২০, ১৫:০২
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও