লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিচয় মিলছে না। তার আত্মীয়-স্বজন কাউকে এখনও খুঁজে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোববার দুপুরে লালমনিরহাট হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা এরশাদ আলী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার পরিচয় বের করার চেষ্টা করছি। হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় তাকে সহায়তা করবে সমাজসেবা।
জানা গেছে, দীর্ঘ চার মাস আগে সন্ধ্যায় লালমনিরহাট হাসপাতালের ভেতরের গেটের সামনে পলিথিন বিছিয়ে শুয়ে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কয়েক দিন চিকিৎসার পরে নিরুদ্দেশ হলেও পুনরায় হাসপাতালে ফিরে আসেন ওই নারী। বর্তমানে সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার গাইনি ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও চিকিৎসকরা অনেকভাবে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী নিজের পরিচয় দিতে ভয় পাচ্ছেন। সবার কথা বুঝতে পারলেও কোনো উত্তর দেন না। তবে সমাজসেবা কর্মীদের ধারণা, বড় ধরনের কোনো মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওই নারী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় এখন দরকার তার পরিবারের আপনজনের পরিচর্যা। তার পরিচয় শনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হলে মানসিকভাবে তাকে সুস্থ করা যাবে। তাই তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে সমাজসেবা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে হাসপাতালে সরকারি সহায়তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন যে, ওই নারী গর্ভবতী হয়েছেন। আগামী মার্চ মাসে তিনি সন্তান প্রসব করবেন বলে আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন।
লালমনিরহাট হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স চামেলী বেগম বলেন, ওই নারী কথা খুবই কম বলেন। কিছু বললে হাসি দেন। কারও ক্ষতি করেন না। কেউ তাকে চিনে থাকলে হাসপাতালে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে। যতদিন হাসপাতালে চিকিৎসা চলবে ততদিন তাকে সহায়তা করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০২০, ২০:১৪