৬ ডিসেম্বর। মৌলভীবাজারের বড়লেখা পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বড়লেখাবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩ শতাধিক গ্রাম যেন প্রতিরোধের দুর্গে পরিণত হয়। বড়লেখা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড কাউন্সিল আজ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
জানা গেছে, বড়লেখা ছিল ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে। মেজর সি.আর দত্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বে এ সেক্টরের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের করিমগঞ্জে। বড়লেখা থানার পার্শ্ববর্তী বারপুঞ্জি ও কুকিরতলে স্থাপিত সাব-সেক্টরের মুক্তি সেনারা হানাদারদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ছোট বড় আক্রমণ চালায়। যুদ্ধের সূচনাতেই বড়লেখাবাসী বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
বড়লেখার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল পাক হানাদাররা বড়লেখা ছাড়তে বাধ্য হয়। ৬ ডিসেম্বর ভোরে বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হলে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৫
পাঠকের মন্তব্য