বরগুনার আমতলীতে কলেজছাত্রী মালা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রভাষক মইনুল আহসান পলাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার অন্যান্য আসামি এডভোকেট বিপ্লব তালুকদারকে যাবজ্জীবন, রিয়াজকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং মামলার অপর আসামি ইভা রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুর বারোটার দিকে বরগুনা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাশ পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসণ্ডা গ্রামের মৃত আ. লতিফ হাওলাদারের ছেলে। এছাড়া বিপ্লব ও তার স্ত্রী ইভা রহমান এবং রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা।
নিহত মালা বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের আব্দুল মন্নান খানের মেয়ে। তিনি কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে মালার সঙ্গে বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন পলাশের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গত ২২ অক্টোবর, ২০১৭ সালে মালাকে নিয়ে পলাশ তার ভাগ্নি জামাই আমতলীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসায় বেড়াতে আসেন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিপ্লবের স্ত্রী তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মালাকে ধারালো বটি দিয়ে হত্যা করেন পলাশ। পরে লাশ সাত টুকরা করে ড্রামে ভরে এক ঘরে লুকিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ বিপ্লব তালুকদারের বাসা গিয়ে ড্রাম থেকে নিহত মালার সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে আমতলী থানায় এক হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরের দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন পলাশ।
তদন্ত শেষে পুলিশ এ মামলায় পলাশ, বিপ্লব, রিয়াজ ও বিপ্লবের স্ত্রী ইভা রহমানকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার আদালত এ মামলার রায় দেন।
সর্বশেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০২০, ১৯:৪২
পাঠকের মন্তব্য