উপরের ছবিটি ভালো করে দেখুন। কোনও দিক থেকে কি একবারও মনে হচ্ছে এই মডেল রক্ত-মাংসের মানুষ নয়! মনে না হলেও এটাই সত্যি! এ কেবলই প্রযুক্তির কারসাজি। হ্যাঁ, বিশ্বাস না হলে আবার পড়ুন। হুবহু মানুষের মতো এই মডেল নেহাতই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কেরামতি। দাঁড়ান, এখানেই অবাক হওয়ার ইতি নয়, এই মডেলের মাসিক আয় ৪ লাখ টাকা! কি? চক্ষু চড়কগাছ তো?
এই এআই মডেলের পরিচয় হল আইটানা লোপেজ। সে এতটাই মানুষের মতো যে একবার এক মার্কিন অভিনেতা তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে মেসেজও করেছিলেন। কিন্তু শেষে জানতে পারেন, আইটানা আসলে বিজ্ঞানের দান। ক্লুলেস নামের একটি সংস্থা জন্ম দিয়েছে আইটানার। তার জন্মের নেপথ্যেও অবশ্য বিশেষ কারণ রয়েছে। আইটানার ডিজাইনার রুবেন ক্রজ জানান, একটা সময় তাদের সংস্থা বেশ আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তারা জানতে পারে, ইনফ্লুয়েন্সার এবং মডেলের ব্যর্থতার জন্যই একাধিক কাজ হাতছাড়া হচ্ছে তাদের। তখনই তারা ঠিক করে নিজেরাই ইনফ্লুয়েন্সারের জন্ম দেবে। আর সেই ভাবনারই প্রতিফলন আইটানা।
ক্লায়েন্টের সামনে আইটানাকে ২৫ বছরের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে তুলে ধরা হয়। যার বাড়ি বার্সেলোনা। দুরন্ত ফিট এবং আত্মবিশ্বাসী। সোশাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যা লাখ পেরিয়েছে। সে সপ্তাহে ঠিক কতখানি কাজ করবে, কোথায় যাবে, সব প্রোগ্রামিংই আগেভাগে করা আছে। আর সেই সব কাজ করেই দিনে প্রতিটি বিজ্ঞাপন থেকে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১২১ হাজার টাকা আয় করে আইটানা। মাসে তার আয় ১২ লাখ টাকারও বেশি। যদিও সংস্থার দাবি, আইটানার মাসিক গড় আয় ৪ লাখ টাকা।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চাকরি কাড়ছে সাধারণের। আগামিদিনে যে এই সংখ্যা আরও বাড়বে, সে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন নামী সংস্থার কর্তারা। আইটানা যেন নিজের রূপ এবং গুণে সেই ইঙ্গিত আরও জোরালো করছে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:১৪
পাঠকের মন্তব্য