এমপি হওয়ার লোভে আন্দোলনের মাঠ থেকে ভেল্কিবাজি দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক সুবিধাবাদী রাজনীতিক। বিএনপির বর্জনের মুখে নির্বাচনে যাওয়ার কেনা-বেচার হাটে নিজেদের তুলেও এখন পর্যন্ত আসন নিশ্চিত করতে পারেননি। তাছাড়া কাউকে কাউকে নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি করলেও ভাগাভাগির নির্বাচনে তাদের আসন নিশ্চিত করতে পারছেন না। আবার নির্বাচনী খরচ হিসেবে যে পরিমাণ অর্থের প্রত্যাশা নিয়ে পল্টি দিয়ে ভোট করার পরিকল্পনা করেন সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। একদিকে মর্কিন ভিসানীতির আশঙ্কা, অবাঞ্ছিত হওয়া অন্যদিকে আসন নিশ্চিত না হওয়ায় হতাশায় পড়ে গেছেন।
গতকালও ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের পরিবেশ প্রত্যাশা : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমরা একটা ইউনিক নির্বাচন দেখতে পাচ্ছি। যেমন খুশি তেমন নির্বাচন আরকি। আমরা এখন ঘোরতর সংকটে আছি। নির্বাচন হয়তো করে ফেলবে, কিন্তু নির্বাচনের পর কী হবে, এটি নিয়ে আমি সন্দিহান। বিগত দু’টি নির্বাচনে ভোট দিতে না পরা মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে, ভোট দিতে পারি না, কী করব? আমি বলি, আল্লাহ আল্লাহ করেন।
সিপিবির নেতাদের মধ্যে এক সময় জনপ্রিয় বক্তব্য ছিল ‘মন্ত্রী-এমপি হওয়া সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। তাই সবাই এমপি হতে চায়’। বাস্তবতাও তাই। দেশ এবং দেশের অর্থনীতি যতই সংকটে নিপতিত হোক এমপিদের সুযোগ সুবিধার কমতি হয় না। এ ছাড়া বৈধ-অবৈধ ও নানান নিয়োগ বাণিজ্য রয়েছে। ফলে সবাই এমপি হতে চান। ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে এটা দেখা গেছে। এবার সেই মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি হতে কেনা-বেচার হাট বসেছে।
একদিকে বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফের ‘নিয়ন্ত্রিত’ নির্বাচনের আয়োজন চলছে। কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি করেছে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ। তাদের চাওয়া আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন করতে হবে।
বিদেশিরা চায় সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। ক্ষমতাসীন দল, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে বিদেশিদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে এমপি করার প্রলোভন, আর্থিক সহায়তা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা দল ও ব্যক্তিকে ভাগিয়ে নির্বাচনে আনার কৌশল নিয়েছে। এমপি হয়ে সংসদে যাওয়া ও টাকার লোভ সামলাতে না পেরে জাতীয়তাবাদী ধারা ও ইসলামী ধারার কয়েকটি দলের নেতারা আন্দোলনের মাঠ থেকে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন নির্বাচনের মাঠে। জার্সি বদল করতে গিয়ে কেউ জোট, ফ্রন্ট বানাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ইচ্ছেমতো সংসদীয় আসন চাচ্ছেন এবং নির্বাচনী খরচের ফর্দ দিচ্ছেন। কেউ কেউ নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট করার বায়না ধরছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের (লোভাতুর নেতা) সকলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণায় নামার তাগিদ দিয়েছেন। আর এতেই ‘বাকবাকুম বাকবাকুম’ ডাক দিয়ে লোভাতুর নেতারা নির্বাচনের হাকডাক শুরু করেছেন। কিন্তু ভোটের বাজারে বিক্রি হয়ে তাদের কেউ কেউ নির্বাচনী এলাকায় ‘অবাঞ্ছিত’ হয়েছেন। আজ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে। অথচ নির্বাচনের হাটে বিক্রি হওয়া নেতারা প্রত্যাশা মতো আসন ও অর্থের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। ভোটের আগেই সুবিধাবাদী ওই নেতাদের মধ্যে হাপিত্যের শুরু হয়ে গেছে।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। অবরোধ-হরতালের মাঠ থেকে ২২ নভেম্বর ভেল্কি দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দেন। তিনি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে রাজনৈতিক জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করে নির্বাচনে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিপক্ষে আন্দোলন করে পেরে না ওঠায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দাবি ছিল, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ব্যতীত নির্বাচনে অংশ নেব না। দাবি আদায়ে সফল না হওয়ায় দু’টি বিকল্প ছিল। এক চুপ থাকা, দুই নির্বাচনে অংশ নিয়ে অবদান রাখা। আমরা অবদান রাখার সুযোগ নিতে চাই।’ নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েই তিনি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মহাসমারোহে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু এর মধ্যেই তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের হাটহাজারির মানুষ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। ইবরাহিমের ‘জার্সি বদল’ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। কিন্তু প্রত্যাশিত আসন ও অর্থ পাওয়ার অনিশ্চয়তায় সে ইবরাহিম অসুস্থ হয়ে এখন হাসপাতালে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চাউর হয়েছে ইবরাহিম নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আসন চেয়েছেন এবং নির্বাচনী খরচ চেয়েছেন মোটা অংকের টাকা। দলে যারা প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন তারা এখন আসন চূড়ান্ত করতে এবং নির্বাচনী খরচের জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু লোভে পড়ে নীতিভ্রষ্ট হয়ে ভোটে গিয়ে এলাকায় অবাঞ্ছিত হওয়া সংসদীয় আসন ও প্রত্যাশার মতো অর্থ পাননি। অথচ যারা টাকা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন তারা নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। অন্যদিকে ১২ দলীয় জোট থেকে কল্যাণ পার্টিকে বহিষ্কার করে ইবরাহিমকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মীর জাফর’ খেতাব দেয়া হয়েছে।
সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের পক্ষ বদলের আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তৃর্ণমূল বিএনপিতে যোগদান। তৃর্ণমূল বিএনপিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএনপির বিকল্প হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। মরহুম নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত এ দলে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হয়ে আলোচনায় চলে আসেন। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেন। মহাসমারোহে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করলেও কয়টি আসন পাবেন তা নিশ্চিত হতে পারেননি। জানা যায়, শমসের মোবিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং তৈমূর আলম খন্দকার মন্ত্রী হওয়ার আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু শমসের মোবিন চৌধুরীর সঙ্গে বৃহত্তর সিলেটের সাধারণ মানুষের কোনো যোগাযোগ নেই। তাছাড়া তাদের কতটা আসন দেয়া হবে তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। প্রতিটি এবারের নির্বাচনে ৩শ’ আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষে ৩৩৬২ জন মনোনয়ন ক্রয় করেন। প্রতিটি আসনে গড়ে ১১ জন করে মনোনয়ন চেয়েছেন। কারণ আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন মনোনয়ন পেলেই এমপি নিশ্চিত। অন্যদিকে নির্বাচনের মনোনয়ন বিক্রি করলেও জাতীয় পার্টি ভোটের আগেই জাতীয় সংসদে আবারো বিরোধী দল হওয়ার নিশ্চয়তা চায়।
নির্বাচনের হাটে গরু কেনা-বেচার মতোই বিক্রির বাজারে নেমেছে কয়েকটি ইসলামী ধারার দল। এমপি হওয়ার লোভে হঠাৎ করে বোল পাল্টে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনে ৫টি নিবন্ধিত ও একটি অনিবন্ধিত মোট ৬টি ইসলামী দলের সমন্বয়ে ‘সমমনা ইসলামী দলসমূহ’ নামে জোট গঠন করা হয়। গত ২১ নভেম্বর জোটের শরীক খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জির সভাপতিত্বে এ জোটের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ নেই। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আত্মহত্যার নামান্তর’। ‘নির্বাচনে যাব না’ সিদ্ধান্ত নেয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার না হতেই পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শরীক দলের নেতা আতাউল্লাহ হাফেজ্জি, জোটের শরীক বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি শাহীনুর পাশা চৌধুরী গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। শাহীনুর পাশা চৌধুরী বিএনপি জোটের সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ছিলেন। জমিয়তের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাহীনুর পাশা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। জমিয়ত পাতানো নির্বাচনে যাচ্ছে না। শাহীনুর পাশাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবশ্য জমিয়ত ছাড়াও ‘সমমনা ইসলামী দলগুলো’র অপর দুই নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং খেলাফত মজলিস নির্বাচনে যাচ্ছে না। একটি দলের যুগ্ম মহাসচিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ ও প্রলোভন রয়েছে। বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা ব্যর্থ হতেই এমপি বানানো এবং মামলা তুলে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের ভোটে ডাকা হচ্ছে। এখন চাপ দেয়া হলেও আমরা ভোটে যাব না।
নির্বাচনের ডামাডোলে এমপি হওয়ার লোভে কেনা-বেচার হাটে উঠেছেন বিএনপির নেতা শ্রমিক নেতা শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। ২০০৫ সালে ফরিদপুর-১ আসনের (মধুখালী, আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী) উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত এমপি আবু জাফর ২০০৩ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেন। এক সময়ের বাকশাল নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে, ১৯৮৬ সালে ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচন করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) নামের নতুন দল গঠন করেন শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির সাবেক আরো ৩ জন সংসদ সদস্য। তারা হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের মো. আব্দুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের শামসুল আবেদিন, বরগুনা-২ আসনের অধ্যাপক আব্দুর রহমান।
এ আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ বেশ কয়েকটি ছোট দলের নেতাকে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছে। সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়ুয়া, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, ন্যাপের আমেনা আহমদ, গণতন্ত্রী পার্টির কবি রুবি রহমান, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আবদুল আউয়াল, বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আবুল কালাম আজাদের মতো খুচরা নেতাদের এমপি বানিয়েছে। অথচ এসব নেতার বেশির ভাগই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার হওয়ার মতো ভোট পান না। আওয়ামী লীগ ছোট ছোট দলের নেতাদের এমপি মন্ত্রী বানাবে সে লোভে পড়ে অনেকেই আন্দোলনের মাঠ থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তারা আসন পাবেন কিনা সে চিন্তায় অস্থিরতায় ভুগছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারি সংগঠন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ বলেছেন, ‘আমরা একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। এর থেকে আমাদের বের হতে হবে। বের হওয়ার জন্য আমরা নাগরিক সমাজ কী করতে পারি, সেটির ওপরই নির্ভর করবে জাতির অস্তিত্ব। আরেকটি পাতানো নির্বাচন হয়ে গেলে দেশ চরম বিপর্যয়ে পড়বে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:১৬
পাঠকের মন্তব্য