শ্রীমঙ্গলে সবজির দাম কমলেও: বেড়েছে বহু পণ্যের দাম

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ।।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে চাল এবং চিনির দাম। গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে সবজির দাম অনেকটা আকাশ ছোঁয়া ছিল।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাজারে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে বহু পণ্যের দাম। সোমবার সরজমিনে শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে পাইকারি ৫০ কেজি চালের দাম ছিল ২৪০০/২৫০০ টাকা। সাত দিনের ব্যবধানে প্রতিটি চালের বস্তায় বেড়েছে ৩০০-৪০০ টাকা।

সোমবার সরজমিনে শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায় আজকের বাজারে লম্বা বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা,  ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, প্রতি কেজি লাল শাক ১০ থেকে ১২ টাকা, লাই শাক ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৯ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা এবং কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।  গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে সব সবজির দামই কমেছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

শ্রীমঙ্গল নতুন বাজারের ঐশী খাদ্যভান্ডারের প্রোপাইটর রজেন্দ্র পাল (বল্টু) জানান, এক সপ্তাহর ব্যবধানে মোটা চালের বস্তায় ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে, এক সপ্তাহ আগে মোটা চালের যে বস্তা ২১৫০-২২০০ বিক্রি করছি এখন এই চাল পাইকারি কিনতে হচ্ছে বস্তায় আরও ২০০-৩০০ টাকা বেশি দিয়ে, এসআলম স্পেশাল চাল যেটা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি করছি ২৪০০-২৫০০ টাকা এটা এখন পাইকারি কিনি ২৭০০ টাকা দিয়ে, এসআলম নরমাল, মিনিকেটসহ সকল চালের বস্তায় বেড়েছে২০০-৩০০ টাকা।

বাজারে আসা ক্রেতা জালাল মিয়া জানান,গত একমাসে যা আয় করি তা দিয়ে বাজারের চাহিদার অর্ধেক নেয়া সম্ভব হতো না। এখন সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। দুপুরে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।

আরেক ক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, সবজির দাম কমছে, কিন্তু আমার মনে হয় সব সবজির দাম ৩০ টাকার নিচে আসা উচিত। তাহলে নিন্ম ও মধ্যবিত্তের জন্য সুবিধা হবে।

শহরের পুরাতন বাজারের কাচাঁমাল পাইকারী ব্যবসায়ী খালেদ হোসেন জানান, লাল শাক প্রতি কেজি ১২ টাকা, লাই শাক ২৫ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।, জেঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। সেন্ট্রাল রোডের মেসার্ম কুমিল্লা বাণিজ্যালয়ের সত্ত্বাধিকারী মোঃ বিল্লাল হোসেন তালুকদার জানান, আলুর দাম অনেক কমেছে। গত এক সপ্তাহে মুন্সিগঞ্জি পেয়াজের পাইকারি দাম ছিল কেজি ৪২-৫০ টাকা, খুচরা বিক্রি হতো ৫০/৬০টাকা, আজ এই আলো বিক্রি করছি ৩০টাকা, আর রাজশাহী আলো প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৩২টাকা, এক সপ্তাহ আগে পাইকারি ছিল ৪৫-৫৫ টাকা, আর খুচরা ৬৫-৭০ টাকা। তবে সয়াবিন তেল ও আটার দাম আগের মূল্যে থাকলেও চিনির দাম বেড়েছে বলে বানিয়েছেন নতুন বাজারের জসিম স্টোরের সত্ত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন চিনির বস্তাতে বেড়েছে ২০০ টাকা। আগে চিনি কিনতাম ৬৪০০ টাকা দিয়ে, এখন পাইকারি কিনি ৬৬০০ দিয়ে।  এদিকে সবজির দাম নিম্নমুখী হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সর্বশেষ আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও