শ্রীমঙ্গলে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই চলছে হস্ত কুটি শিল্প নামক বাণিজ্য মেলা:

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ।।

শ্রীমঙ্গল( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হস্ত কুটি শিল্প নামে মেলা অনুমোদন হলেও ছিল না কোন হস্ত ও কুটি শিল্পের ষ্টল। গত ২৬  সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মেলা অনুমোদন দেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক। 

কিন্তু ১০ অক্টোবর মেলা বন্ধের ঘোষণা থাকলেও সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে মেলা পরিচালনা করছে মেলা কমিটি। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। হস্ত কুটির শিল্প মেলার নাম ভাঙিয়ে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একটি চক্র দর্শনার্থীদের নানান বিনোদনের পসরা বসিয়ে নানান উপায়ে এসব টাকা ভাগবাটোয়ারা করে লুটেপুটে নিচ্ছে। সংঘবদ্ধচক্রটি বিভিন্নমহলকে ম্যানেজ করে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা সহ ভিন্ন ভিত্তি রাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের প্রবেশ মূল্য দিয়ে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে মেলার অন্যতম আয়ের খাত তৈরী করেছে।

অন্যদিকে হস্ত কুটির শিল্প মেলার দেশীয় পণ্যের পরিবর্তে রয়েছে বিদেশী পণ্যের সমারোহ খেলনার ষ্টল,চায়নার ক্রোকারিজ,জুতা,কসমেটিক্স, কাপড়ের ষ্টলসহ চটপটি ফুসকার দোকান। আসন্ন দূর্গা পূজা উপলক্ষে শহরের ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসার লোকসানের শঙ্কায় ইতিপূর্বে মেলা বন্ধের দাবীতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেও আজ পর্যন্ত গ্রহন করা হয়নি কোন ব্যবস্থা। এবং মেলা বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপিও দিয়েছেন জেলা প্রশাসনসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে। তারা বার বার দ্বারস্থও হচ্ছেন স্থানীয় এমপি, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ ব্যবসায়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে।

ছবি মুক্তিবাণী

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মেলা কমিটি মেলা চালিয়ে যাচ্ছেন মেলা। এমন অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। মেলা আয়োজন কমিটির মা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিয়ানীবাজার সিলেট এর স্বাধিকারী আবিদ হাসান লিটন জানান,মেলার সময় বৃদ্ধির জন্য আমি মৌখিক ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। তিনি বিয়ানীবাজার থেকে এসে মৌলভীবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোটা অংকের টাকার সেলামি দিয়ে এমন নাম ভাঙ্গিয়ে মেলার  আয়োজন করেন বলে জানা যায়। এব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম বলেন, বানিজ্য মেলা অনুমতির ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর সময় বর্ধিত করার কোন সুযোগ নেই। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা রয়েছে দূর্গা পুজার সময় কোন মেলার অনুমতি দেওয়া যাবেনা। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিটুন জানান,মুঠো ফোনে ১৪ অক্টোবর বলেন, মেলার আয়োজককে আমি ডেকে আনতেছি। যদি আজ আয়োজক মেলা বন্ধ না করে তাহলে মেলা বন্ধ না করতে আমরা সরেজমিনে অভিযান চালাবো।

সর্বশেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:০৩
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও