শ্রীমঙ্গল ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া ও ফসলি জমি থেকে  ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে সিলিকা বালু ও ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের  অভিযোগ উঠেছে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের ইলামপাড়া, কদমতলা, শাসন, ভীমশি, নতুন বাগান, সাতগাঁও, ইছামতিসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন করিয়া পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করিতেছে ওই এলাকার একটি বালু খেকো চক্র। বিশেষ ফসলি জমিতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জানা গেছে, ওই এলাকায় বালু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিমাসে বিভিন্ন বিশেষ মহলে ২৫/৩০ লাখ মাসোহারা দিয়ে এসব বোমা মেশিন ও ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে।

এর ফলে বিভিন্ন গ্রামের গ্রামীন সড়ক ও ক্ষেতের জমি বিশাল আকৃতির ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি করা হয়েছে।চক্রটি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে অনেকটা নির্বিঘ্নে বোমা মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকা দামের সিলিকা বালু প্রকাশ্যে ট্রাক,কভার্ডভ্যান গাড়ীতে বিক্রি করে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেয়াসহ গ্রামীন রাস্তাঘাট ও ব্রীজ কালভার্ট ও এলাকার ফসলি জমির ভূপ্রকৃতির অবস্থান বিনষ্ট করেছে।

২নং ভূনবীর ইউনিয়নের অন্তর্গত জৈতাছড়া ও ইলামপাড়া ছড়া থেকে দীর্ঘ দিন যাবৎ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে সিলিকন বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকার ফসলি জমি নষ্ট করে এসব বালু তোলায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সৃষ্টি করেছে।কৃষি জমিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এর ফলে কৃষি জমি রাস্তা ঘাট হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভয়ে তাদের এহেন অবৈধ কর্মকান্ডের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন না।ভুনবীর ইউনিয়নের ইছামতি চা বাগানের মঙ্গলচন্ডি রাস্তার পূর্বে এলাকায়, শাসন বটেরতল এলাকার ঠান্ডা মিয়ার বাড়ির পেছনে, ভুনবির বাজারের পশ্চিমে ইলামপাড়া, ইলাম গ্রামের প্রেমপাড়া, ইলাম বড়পাড়া, ভুনবির জৈতাছড়ার পূর্বে হাওর মিয়ার ফিসারির ভুনবির হাইস্কুলের নতুন বাগান, ভিমশি এলাকায় কুমারপাড়া, মির্জাপুরের কদমতলা, ঠান্ডার মাঠের পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে কৃষি জমিতে বড় বড় গর্ত করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।এসব একেকটা গর্ত ১শ’ থেকে দেড়শ’ ফুট গভীর। এলাকাগুলোতে কোনটায় ৫ টা কোনটায় ৬ থেকে ৭ টা ড্রেজার মেশিন বসানো রয়েছে। বালু তোলার ফলে এখানকার বিস্তৃীর্ণ কৃষি জমি এখন খালের রূপ ধারণ করেছে।

এতে করে এলাকর পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। এ অঞ্চলের মূল্যবান সিলিকা বালু তোলা নিয়ে বেলাসহ দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন আপত্তি জানিয়ে আসছে। এর মধ্যে বেলা গত কয়েক বছর আগে উচ্চ আদালতে একটি রিট করায় বালু তোলার উপর প্রশাসনিক কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারী নিয়ম অমান্য করে বালু তোলা অব্যাহত রেখেছে।

শ্রীমঙ্গল ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি সন্দ্বীপ তালুকদার বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। শিগগিরই ওইসব এলাকায় অভিযান করবো।’শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পাহাড়ি ছাড়া ও ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজাল মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন।

সর্বশেষ আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৩
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও