র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বনদস্যু/জলদস্যু, ডাকাত ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২৭ আগস্ট রবিবার শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রির্সোট এর বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ২য় তলার ০৫ নং কক্ষের বিছানার উপর থেকে শরীফুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির মাথা থেতলানো রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ০৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৭/২৬১, তারিখ- ২৮ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে মৌলভীবাজারসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০০:৩০ ঘটিকার (২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২:৩০ ঘটিকা) সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ধলাদিয়া বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রিসোটে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর পর্যটক হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বচইড় (খলিল বাড়ী) এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল মিয়ার ছেলে ওসমান গনি (৩৪)। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম শরীফুল ইসলাম (৪০) একজন কার্টুন ব্যবসায়ী।
বিগত ২৪ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম অন্যান্য আসামীদের সাথে বেড়ানোর জন্য শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে রওয়ানা করেন। পরবর্তীতে, ২৫ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকালে ভিকটিম শরীফুল ইসলাম (৪০) অন্যান্য আসামীদের সাথে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রির্সোট এর বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ২য় তলার ০৫ নং কক্ষে উঠেন। গত ২৭ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় তাদের কটেজ ত্যাগ করার কথা থাকলেও সকাল আনুমানিক ১১:৪৫ ঘটিকার সময় রির্সোটের হাউজ কিপিং কটেজের দরজায় দীর্ঘক্ষণ নক করে ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষ শ্রীমঙ্গল থানায় অবহিত করলে পুলিশ রিসোর্টে গিয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষের ভেতর ঢুকে ভিকটিমের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ তল্লাশী কালে কটেজের দক্ষিণ পাশের জঙ্গল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের টুকরা উদ্ধার করে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ১ অক্টোবর ২০২৩, ০১:২৩
পাঠকের মন্তব্য