সুখী জীবন প্রকল্পের আওতায় ও প্যাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল পিএইচডির আয়োজনে আজ বুধবার ( ২০ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে কিশোর কিশোরীদের কৈশরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কর্মশালা ও ক্ইুজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ।
এ সময় তিনি বলেন, আজকের কিশোর বা কিশোরী, আগামী দিনের একজন সচেতন বাবা-মা’র ভুমিকা তখনই পালন করতে পারবে, যখন তাদের নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা থাকবে। তাই কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে আমাদের সকলের এই বয়সরে ছেলে-মেয়েদের এবং তাদরে পরবিাররে সদস্যদরে মাঝে স্বাস্থ্য সবো সর্ম্পকে সচেতনতা বাড়ানো, প্রজনন স্বাস্থ্য, পু্ষ্টি মানসিক ও সামাজিক বিষয়ে ইত্যাদি মতো বিষয়ে তাদের অবগত করাই এই কর্মশালার লক্ষ্য ।
এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তরের উপরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা মা ও শিশুস্বাস্থ্য মেডিকেল ডাঃ অফিসার টপ্পি বেগম, সদর উপজেলা ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মারজিয়া আহসান তৃষা, ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরির্দশক দেবাশীষ দেব, সুখী জীবন প্রকল্পের সমন্বয়কারী রেজাউল করিম ভূইয়া প্রমূখ।
কর্মশালায় বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত তুলে ধরেন সুখী জীবন প্রকল্প ও প্যাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল পিএইচডির ডিস্টিক প্রোগ্রাম অফিসার সোহেল রানা। কর্মশালার শেষের দিকে কিশোর কিশোরীদের কৈশরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আজকের আলোচনায় বয়সন্ধিকালে (১০-১৯) শিশু কিশোররা কি ধরনের স্বাস্থ্য সেবা পাবে এবং সেই স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে তাদের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ আচরন বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কৈশোরের এই সময়টাতে একজন শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটে, তাই তারা সহজেই অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে পড়ে।এসময়ে কিশোররা মাদকাসক্ত হয়ে পরতে পারে, কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পরতে পারে, এসময় কারো মাঝে হতাশার সৃষ্টি হলে, সেই হাতাশা থেকে আত্মহত্যার মতো ভুলের পথ বেছে নিতে পারে।তাই কৈশোরে শিশুর শারীরিক যত্নের মতই মানসিক যত্নের জন্য একজন সৎ পরামর্শকের ভূমিকা খুব বেশি।
সারাদেশে বর্তমানে ৬০৩টি কৈশোর বান্ধব সেবা কেন্দ্র রয়েছে। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রমের একটি অংশে পুষ্টি, এইচআইভি, পয়ঃনিষ্কাশন, ঋতুস্রাব কালীন পরিচ্ছন্নতা, সঠিক বন্ধু নির্বাচন, জীবন দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার বিষয়টিও আজকের আলোচনায় এসেছে।
সর্বশেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:৫৯
পাঠকের মন্তব্য