মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বসতবাড়ির জায়গা দখলের পায়তারায় করে চাচা ও ফুফুর মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তোতা মিয়ার ছেলে সোয়েব আহমদ হামলার হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী ও মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে চাচা ও ফুফুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তবে সোয়েব আহমদ মারধোর করেছে বলে থানায় মামলা দিয়েছেন দাবি করেন ফুফু শরিফা বেগম ও চাচা তারা মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বসতবাড়ির জায়গা দখলের চেষ্টায় লিপ্ত চাচা তারা মিয়া (৪০) ও ফুফু শরীফা বেগম (৪৫) এর বিরুদ্ধে গত ২৯ জানুয়ারি কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন সোয়েব আহমদ। জায়গা দখলে বাঁধা প্রদান করলে ভয়ভীতি, হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে বলে অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ফুফু শরীফা বেগমের দায়েরকৃত মারধোরের মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। এসব ঘটনা মিথ্যা ও পূর্বের জিডি রয়েছে দাবি করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন সোয়েব আহমদ।
মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দাবি করে সোয়েব আহমদ বলেন, আমার পিতা মারা যাওয়ার পর বসতবাড়ির জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে চাচা তারা মিয়া ও ফুফু শরীফা বেগম মা ও স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। এসব বিষয়ে থানায় জিডি করি। পরে গত ৩০ আগষ্ট জমিতে হালচাষ করতে গেলে চাচার নির্দেশে ফুফু ও তার সহযোগি মিলে সেখানে গিয়ে দা দিয়ে আমার উপর আক্রমনের চেষ্টা করেন। এসময় দৌড়ে ঘরে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। পরে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশ থানায় নিয়ে আটকে রাখে ও শরীফা বেগমের মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠালে ১১ দিন জেলহাজত ভোগ করতে হয়।
তবে অভিযোগ বিষয়ে শরীফা বেগম ও তারা মিয়া বলেন, সোয়েব আহমদ মারধোর করেছে এজন্য মামলা দিয়েছি। যখন মামলা দিয়েছি আদালতের বিষয়টি আদালত দেখবেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, সোয়েব আহমদের জিডি তদন্ত করা হয়েছে। অপরদিকে শরীফা বেগমের মারধোরের মামলায় প্রধান আসামী থাকায় তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সোয়েব আহমদ হুমকির মুখে থাকলে পুনরায় জিডি করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৪
পাঠকের মন্তব্য