বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি প্রতারণা মামলা তদন্তে অবহেলার দায়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে শোকজ করা হয়েছে। ব্যাখ্যাসহ আগামী ধার্য তারিখে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ময়দান গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে সৌদিআরবে নেওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন বিয়ানীবাজারের সৌদি প্রবাসী আজিম আলী, তার ভাই ফয়জুর রহমান ও তাদের এক আত্মীয় রুমি বেগম। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ মার্চ দুই দাগে তারা হেলাল উদ্দিনের নিকট থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নেন। দীর্ঘদিনেও হেলাল উদ্দিনকে তারা ভিসা দিতে পারেনি। টাকা ফেরৎ দিবে বললেও চলিত বছরের ১৩ জানুয়ারী টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করায় ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন ১৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা মামলা করেন।
এ দিন আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদির বর্ণিত অভিযোগের সত্যতা ও যথার্থতা সম্পর্কে তদন্তপূর্বক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরবর্তী ধার্য তারিখ ১২ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত ১৩ জুন মামলার তারিখ ধার্য করেন কিন্তু ওই তারিখেও প্রতিবেদন জমা দেননি। আদালত ১৫ জুন তদন্ত কর্মকর্তা বরাবর তাগিদপত্র ইস্যু করে ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রাপ্তির দিন ধার্য করেন। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তা ওই তারিখেও প্রতিবেদন জমা দেননি।
এমনকি বিলম্ব/ব্যর্থতার ব্যাখ্যাও দেননি, যা আদালতের বিধানাবলীর লঙ্ঘন। আদালতের বেঞ্চ সহকারি শফিউল আলম বেলালী জানান, মামলায় আদালত কর্তৃক তাগিদপত্র ইস্যুর পরও একাধিক ধার্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তৎমর্মে লিখিত কারণ ও ব্যাখা প্রদানের জন্য আগামি ৬ নভেম্বর তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ডাকযোগে ও ই-মেইলে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সর্বশেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৯
পাঠকের মন্তব্য