কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলে দেওয়ার নাম করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্নসাৎ

স্টাফ রিপোর্ট :

কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার সহযোগীতা করার অজুহাতে মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের নিকট থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আমুলী গ্রামের মনফর আলীর ছেলে এম এ কাইয়ুমের উপর। 

এব্যাপারে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে কমলা বেগম মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। অভিযোগে জানাযায়, কুলাউড়া থানার আলীনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছত্তার এর মেয়ে কমলা বেগম তার বাবার মৃত্যুর পর মা ও দুই বোনের মধ্যে ভাতা সংক্রান্ত বিষয় জটিলতা দেখে দেয়। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কুলাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সালিশ বৈঠকে ভাতা সুসম বন্টন করে দেন।

এবিষয়ে ভাতা দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে উপজেলার আমুলী গ্রামের মনফর আলীর ছেলে এমএ কাইয়ুম ১০ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভাতা সোনালী ব্যাংকে জমা হলে কমলা বেগম টাকা উত্তোলন করতে গেলে এম এ কাইয়ুম সেখানে যায়। কমলা বেগম মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলনের পর এম এ কাইয়ুম ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে টাকা গুলো ফেরৎ না দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। টাকা উদ্ধার ও এম এ কাইয়ুমের উপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছেন কমলা বেগম। এছাড়াও এম এ কাইয়ুমের বিরোদ্ধে একজন ফ্রান্স প্রবাসীর এন আইডি কার্ড সংশোধনের কথা বলে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ এনে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট অভিযোগ ও থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন কুলাউড়া উপজেলার সম্মান গ্রামের আ: জলিল। অভিযোগে জানাযায়,আ: জলিল তার ভাই ফ্রান্স প্রবাসী আব্দুল আহাদের এনআইডি কার্ড ভুল সংশোধন করতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে এম এ কাইয়ুম তার নির্বাচন অফিসের উধ্বর্তন কমকর্তা তার আত্নীয় সে এনআইডি সংশোধন করে দিতে পারবে বলে ধাপে ধাপে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়।

পরে কার্ড আর সংশোধন করে দেয়নি। টাকা ফেরৎ চাইলে হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়াও  ব্যবসায়ীকে আটকিয়ে রেখে ভিডিও রেকর্ড করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের নিকট কানাইটিকর গ্রামের মায়ারুন বেগম। রবির বাজারের ব্যাবসাসী ফয়ছল আহমেদ পাওনা টাকা আদায় করতে যাওয়ার পথে এম এ কাইয়ুম তাকে জিম্মি করে শিখানো কথা রেকর্ড করে পরে ব্ল্যকমেইল করে । এ সময় ব্যবসায়ীর টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। এলাকায় এম এ কাইয়ুমের উপর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার দাপটে সাহস করে কেউ আইনি পদক্ষেপে যাওয়ার সাহস পায় না।

সর্বশেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪১
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও