পর্যটক শরিফুল যেদিন খুন হয় সেদিন রাতে একসাথে শান্তসহ খাওয়া দাওয়া করেন

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।

শ্রীমঙ্গলের গ্রান্ড সুলতানে চাকুরী করেন শান্ত ঘোষ, বেশ কয়েক বছর আগে একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন শরিফুল খুনের প্রধান আসামি রাব্বি। সেই পূর্বের পরিচয়ের সুবাদে রাব্বি শান্তকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে লেমন গার্ডেন রিসোর্টে।

গত শনিবার রাতে তারা সেখানে একসাথে খাওয়া দাওয়া এবং মদ্যপান করেন। কিন্তু হত্যাকান্ডের শিকার শরিফুল তাদেরকে মদ খেতে নিষেধ করে এবং একসময় হঠাৎ শরিফুলের পা লেগে মদের দামী বোতলটি ভেঙে যায় বলেও জানা গেছে। এ কারণে

তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রাব্বি সহ তার অন্য তিনজন বন্ধু শরিফুলকে কাঠের বর্গা দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গ্রেফতার হওয়া শান্ত এমন বক্তব্য পুলিশের নিকট দিয়েছে বলে জানা গেছে। শান্ত তাদের মদের বোতল ও গাজা স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করেন বলে পুলিশের নিকট স্বীকার করে। তবে পুলিশ মূল আসামীদের গ্রেফতার করলে হত্যাকান্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত না হঠাৎ কোন কারনে হয়েছে এবং এ ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত রয়েছে সেই রহস্যের জট খুলবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

ছবিতে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে শান্তসহ সবাই বেশ আনন্দের সাথে খাওয়া-দাওয়া করছেন। তবে মুখে দাড়ি ওয়ালা ব্যক্তি হল হত্যাকান্ডের শিকার শরিফুল।হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে, আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।

সর্বশেষ আপডেট: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০২
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও