মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল আলম লিজন বলেছেন, ‘অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাগিয়ে নিতে না পেরে ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্টিত বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা অবৈধ ভাবে প্রভাবিত করতে না পেরে কতিপয় হিংসুটে ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে জুড়ীতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ৫টি পদে নিয়োগের জন্য বিধিমোতাবেক ৫ সদস্যের নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (জুড়ী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফজলুর রহমান, ডি.জির প্রতিনিধি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.খ.ম ফারুক আহমদ, বিদ্যালয় সভাপতি আমি নাজমুল আলম লিজন, শিক্ষানুরাগী সদস্য মো: বেলাল উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক মো: মোশারফ হোসেন এর উপস্থিতিতে গত ১৬ আগস্ট নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। এতে ৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরে সকল পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং বিধিমোতাবেক উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এতে সকলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কিন্তু একটি মহল হীন উদ্দেশ্যে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাগিয়ে নিতে না পেরে আমাকে সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন করার মানষে অপকর্মে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে ২০ আগস্ট কিছু হিংসুটে ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে ‘সাবধান জুড়ী বড়লেখা’ নামক ফেসবুক ফেক আইডি থেকে আমার ছবি যুক্ত করে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এরপর আব্দুল বাছিত ছায়াদ, আব্দুস সালাম, খায়রুল ইসলাম গং সেটা ফেসবুকে শেয়ার করেন ও অশালীন মন্তব্য করেন। পূর্ব বটুলীর আব্দুস সালাম, বারি মিয়া ও বিরইনতলার আব্দুল হান্নান গং ২৪ আগস্ট এরকম মিথ্যা অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দেন। যা আমি, আমার পরিবার, বিদ্যালয় ও ইউনিয়নবাসীর জন্য মানহানীকর।
তিনি বলেন, আমি রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ফুলতলা বশির উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। আমি একজন আমদানী ও রফতানীকারক ব্যবসায়ী। আমি প্রতি বছর সরকারকে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকি। আমার মানরক্ষার্থে আমি গত ২৮ আগস্ট মাননীয় সাইবার ট্রাইবুনাল, সিলেট-এ মামলা দায়ের করি। এর পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ফুলতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য অরূপ দেব, সাগরনাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাদিকুর রহমান ও সাগরনাল ইউনিয়নের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম।
সর্বশেষ আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:৪৭
পাঠকের মন্তব্য