শ্রীমঙ্গল উপজেলার হোসনাবাদ চা বাগানে সাপ্তাহিক মজুরির দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে চা বাগানে কর্মবিরতি করে আন্দোলন করা শ্রমিকরা অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে।
হোসনাবাদ চা বাগানের ‘বাগান পঞ্চায়েত কমিটি’র সভাপতি পরেশ তাঁতী দেশ রূপান্তরকে বলেন, মালিকপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার দুই সপ্তাহের মজুরি ও রবিবার দুই সপ্তাহের রেশন দিবেন বলে কথা দিয়েছেন। আমরাও আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিব। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বাগান মালিকদের সাথে আলোচনা করেছি।
সোমবার শ্রীমঙ্গল শহরের বিভাগীয় শ্রম দপ্তর মিলনায়তনে শ্রমিক পক্ষ, মালিক পক্ষ ও সরকারের প্রতিনিধিদের ত্রিপক্ষীয় সভা শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার এর ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, হোসনাবাদ চা বাগানের মালিক কাজী আনুয়ার কাইয়ুম ও কাজী সিরাজ কাইয়ুম, চা বাগানের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি পংকজ কন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী, হোসনাবাদ চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি পরেশ তাতী, সাধারণ সম্পাদক মালেক মিয়া, আশিদ্রোণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রণেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন জহর প্রমুখ।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালী সভাপতি বিজয় হাজরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, হোসনাবাদ চা বাগান মালিক অনেক বছর থেকেই নিয়মিত ভাবে শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছে না। বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকদের পূর্বেও বকেয়া থাকলেও তা পরিশোধ করা হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক ইউনিয়নের আলোচনায় নেয়া সিদ্ধান্ত সমূহ অন্যান্য বাগানগুলো বাস্তবায়ন করলেও হোসনাবাদ চা বাগান কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। আমরা আজকের ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় এসব কথা তুলে ধরেছি। মালিকরা কথা দিয়েছে পর্যায়ক্রমে চা বাগানের সমস্যাগুলো সমাধান করে দিবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার চা বাগানের শ্রমিকরা সাপ্তাহিক মজুরি পান নি। মজুরি না পেয়ে একদিন অপেক্ষা করে ১৯ আগস্ট শনিবার থেকে মজুরির দাবিতে চা বাগানে কর্মবিরতি করে আন্দোলন শুরু করেন তারা। পরে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক নাহিদুল ইসলাম মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা করে চা বাগানের আন্দোলনের সমাধান করেন।
সর্বশেষ আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:৫১
পাঠকের মন্তব্য