প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে গাছ চাপা পড়ে দুই জেলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে চার জেলায় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।
এর বাইরে সাতক্ষীরায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। তবে এর সঙ্গে ঝড়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি।
পটুয়াখালীতে দমকা হওয়ায় গাছ উপড়ে বসত ঘরের ওপর পড়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় হামেদ ফকির নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন জানান।
নিহত হামেদ ফকিরের বয়স ৬৫ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মৎস্যজীবী।
এছাড়া খুলনার দীঘলিয়া এবং দাকোপ উপজেলায় গাছের নীচে চাপা পড়ে নারীসহ দুজনের নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- দীঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটির আলমগীর হোসেন (৩২) এবং দাকোপের প্রমীলা মণ্ডল (৫২)।
সকাল ১০ টার দিকে দুই উপজেলায় গাছ ভেঙে পড়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বরগুনায় শনিবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে হালিমা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিচুর রহমান বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন ৭০ বছর বয়সী হালিমা খাতুন।’
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে আবুল কালাম নামে ৪০ বছর বয়সী এক মাছ চাষী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তার মৃত্যুর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
সর্বশেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪১
পাঠকের মন্তব্য