রাজনগর উপজেলার ৮নং মনসুরনগর ইউনিয়নের বানারাই আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর ব্যব¯’া করে দেওয়ার প্রলোভনে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ এর বিরোদ্ধে উঠে এসেছে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি, সুদ ব্যবসা, বিভিন্ন অজুহাতে মানুষের টাকা কেড়ে নেওয়া, জুয়ার আসর বসানো, মানুষের উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলে টাকা আত্মসাৎ, প্রতারনা সহ অনেক অভিয়োগ।
সুদের ব্যবসায় এলাকায় অনেক মানুষকে সে করেছে নি:স্ব। অনেকে তার সুদের জালে জড়িয়ে তার ভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন। তার উপর রাজনগর থানায় রয়েছে খুনের মামলা, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া, মারামারিসহ অনেক অভিযোগ। এলাকার অনেকে তাকে দ্বিতীয় এরশাদ শিকদার নাম দিয়েছেন। ইদানিং বানারাই আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘর ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যাব¯’া করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আলাল মিয়ার নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আব্দুস সামাদ। এ বিষয়ে আলাল মিয়া ৮ আগষ্ট একটি প্রতারনার অভিযোগ করে রাজনগর থানায়।
পরবর্তীতে আলাল মিয়া কারো প্ররোচনায় ও আব্দুস সামাদের ভয়ে ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুর নাম জড়িত করে আরো একটি অভিযোগ করে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট । ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুর নাম সম্পৃক্ত করার ঘটনায় বানারাই ভূমিহীন আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ পাওয়া ১৯ পরিবার আলী মিয়া, খছর“ মিয়া, মুকিদ মিয়া, জহির মিয়া, র“জিনা বেগম, হামিদ মিয়া, পার“ল বেগম, সুমন মিয়া, রেনা বেগম, সুমন মিয়া (২), জলিল মিয়া, কনা মিয়া,আব্দুল আহাদ, মার“ফ মিয়া,সাজনা বেগম, জসির মিয়া, শরীয়ত আলী, রাসেল মিয়া, র“সনা বেগম তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।
তারা জানায়, আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়ার আগে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে কেহ থাকতেন কলোনিতে, কেহ আবার অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করতেন। ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুর সহযোগীতায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেয়ে তাদের দূর্গতি শেষ হয়েছে। মাহবুবুর রহমান মিটুর উপর আলাল মিয়ার উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা নিকট করা অভিযোগ কারো প্ররোচনায় মিথ্যা বদনাম করার জন্য করেছে বলে দাবী করেন। বানারাই এলাকার মৌওলানা কবীর আহমদ, সুহেল রানা, আনছার মিয়া, সাজমান, আলতা মিয়া, ফরহাদ আহমদ, ছিদ্দেক মিয়া, মৌওলানা হুসাইন আহমদ বলেন, আমরা একদিন সুমন মিয়ার দোকানে বসা অব¯’ায় আলাল মিয়া এসে বলে সে আশ্রায়ন প্রকল্পে সরকারী ঘর পাওয়ার জন্য আব্দুস সামাদকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। আশ্রায়ন কেন্দ্রের ঘর দেওয়া শেষ, কিš‘ সে ঘর পায়নি।
মেম্বার মাহবুবুর রহমান মিটুর নিকট বিচার দিয়েছে। মেম্বারের দেখে দিবেন বলছিলেন। তার বাড়িতে বিয়ে থাকার কারনে তিনি বিষয়টি দেখে দেননি। পরে তারা আব্দুস সামাদকে জিজ্ঞাস করলে সে তাদেরে বলে, আলাল মিয়ার ৩০ হাজার তার নিকট আছে। সে আলাল মিয়াকে দিয়ে তার দোকান ঘরের চালের কাজ করায়। আলাল মিয়া ঠিক মতো চালেল টিন লাগাতে পারেনি। ফলে চাল থেকে পানি পড়ে মুল্যবান টিভি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন টিভি ঠিক করার জন্য সে মেইকারে দিয়েছে। তার টিভি ঠিক করতে যে টাকা যাবে ঔই টাকা বাদ দিয়ে বাকী টাকা আলালকে দেবে। তারা আরো বলেন, আলাল মিয়ার বাড়ি এখনে নয়। শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ৩বছর পূর্বে এখানে এসে বসবাস শুরু করে। মেম্বারের বাড়িতে সে ভাড়া থাকতো।
প্রবাসী শাহ আলম বলেন, এলাকার প্রবাসী শাহ আলম বলেন, তার নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এব্যাপারে শাহ আলম রাজনগর থানায় একিটি মামলা করেছেন। অলি মিয়াকে ৫ হাজার টাকা সুদে দিয়ে কয়েক গুন বেশী নেওয়ার পরও টাকার জন্য অলি মিয়াকে মারধোর করে। এব্যাপারে অলি মিয়াও রাজনগর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। সায়েম মিয়ার নিকট থেকে জোড় পূর্বক কেড়ে নেয় ১৫ হাজার টাকা। আনছার মিয়ার মিয়ার ছেলে সেকুল মিয়াকে সুদের টাকার জন্য ¯’ানীয় হাজির বাজারে প্রকাশে মারধোর করে। বানারাই বড়বাড়ির তপন মিয়া ৫ হাজার টাকা সুদে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও তার রেহাই মেলেনি।
আরো টাকার দাবী করছে। সে তার ভয়ে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করে। এমন কি তপন মিয়া বাবা মারা গেলেও সে আব্দুস সামাদের ভয়ে লাশ দেখতে বাড়িতে আসতে পারেনি। এলিম নামের আরেক ব্যাক্তি তার নিকট থেকে সুদে টাকা নিয়ে বর্তমানে পালাতক আছে। এরশাদ মিয়ার পুত্র জয়েদ মিয়া নামে এক কর্মচারী তার দোকানে থাকতো। সামাদ মিয়ার ব্যবহারে সে অন্য দোকানে চাকুরী নিয়ে চলে যায়। এর কারনে তার নিকট ৩ লাখ টাকা দাবী কওে আব্দুস সামাদ। পরে মেম্বার বিচার করতে গিয়ে সঠিক ঘটনা ধরা পড়লে সে আর টাকা দাবী করেনি। আব্দুস সামাদের উপর রয়েছে খুনের একটি মামলা।
এই মামলায় সে জেল কেটেছে। শাহ আলম বলেন, প্রবাসে থেকে ভেবেছিলাম কুখ্যাত এরশাদ শিকদারে ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। এখন দেখছি আরো অনেক এরশাদ শিকদার জন্ম হয়েছে। যার ভয়ে কেহ মুখ খোলতে সাহস পায়না। এব্যাপাওে ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটু বলেন, আমি আলাল মিয়া আলাল মিয়া সামাদকে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়ার বিষয় কিছু জানতাম না। আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ হওয়ার পর আলাল মিয়া আমার নিকট আব্দুস সামাদের বিচার নিয়ে আসে। আমি তাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলি। অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনা তদন্তে এলে আব্দুস সামাদ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার কওে এবং টাকা ফেরত দেবে বলে জানায়। এরমধ্যে আমি জানতে পারি আলাল মিয়া কারও প্ররোচায় আমাকে জড়িত করে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ন আমার মানসম্মান হেয় করার পায়তারা।
সর্বশেষ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪৯
পাঠকের মন্তব্য